নিহত আলী হাসান | ছবি: সংগৃহীত |
প্রতিনিধি বগুড়া: বগুড়ায় বাড়িতে ডেকে নিয়ে জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি সবুজ সওদাগরের বিরুদ্ধে তাঁর বন্ধু আলী হাসানকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া সদরের শহরদীঘি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আজ বুধবার সকালে নিহত আলী হাসানের বাবা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় সবুজ সওদাগরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।
নিহত আলী হাসান (৩২) বগুড়া শহরের মালগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার জিন্নাহ মিঞার ছেলে। তিনি ট্রাকচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। আলী হাসান বগুড়ার ফাঁপোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। অভিযুক্ত সবুজ সওদাগরও হত্যা মামলার আসামি।
ফাঁপোর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, গতকাল দুপুরে একজন মুঠোফোনে কল করে জানান, সবুজ সওদাগর তাঁর বন্ধু আলী হাসানকে ছুরিকাঘাত করে ঘরে ফেলে রেখেছেন। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় আলী হাসানকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, নিহত আলী হাসান ও অভিযুক্ত সবুজ সওদাগর দুজনই দুটি হত্যা মামলার আসামি এবং পরস্পরের বন্ধু। সবুজ সওদাগর তাঁর বাড়িতে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে বন্ধু আলী হাসানকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছেন। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর থেকে সবুজ সওদাগর পলাতক।
দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, এর আগে ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সৈনিক লীগের জেলা কমিটি গঠন নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের আহ্বায়ক ও শ্রমিক লীগের সাবেক সহসভাপতি শিমুল হক ওরফে রেহানকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের তৎকালীন বগুড়া শহর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সবুজ সওদাগর ও তাঁর সহযোগীদের ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। পরে এই হত্যা মামলার প্রধান আসামিক করা হয় সবুজ সওদাগরকে।