কোহলির প্লে-অফে ওঠার আনন্দ | বিসিসিআই

খেলা ডেস্ক: পুরো টুর্নামেন্টের মধ্যে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে আজই সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। শেষ চারে উঠতে হলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২০ ওভারে ২০১ রান তুলতেই হতো। আর সেই লক্ষ্যপূরণে শেষ ৬ বলে চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ১৭ রান, স্ট্রাইকে ধোনি।

ইয়াশ দয়ালের প্রথম বলেই ধোনি হাঁকালেন ছক্কা। এক পলকেই ম্যাচ যেন চেন্নাইয়ের নাগালে। কিন্তু পরের বলে ধোনি আউট হতেই বাকি ১১ রান হয়ে উঠল দূর-পাহাড়।রবীন্দ্র জাদেজা-শারদুল ঠাকুররা পাড়ি দিতে পারলেন না সেই পথ। লিগ পর্বেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।

চেন্নাইকে বিদায় করে শেষ চারের টিকিট কেটেছে বেঙ্গালুরু। প্রথম আট ম্যাচের সাতটিতে হেরে বসা বিরাট কোহলির দল প্লে-অফে ওঠার পথে জিতেছে টানা ৬ ম্যাচ।

কলকাতা, রাজস্থান ও হায়দরাবাদ আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলায় জায়গা বাকি ছিল একটিই। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে সেই টিকিটের লড়াইয়েই ছিল চেন্নাই-বেঙ্গালুরু। চেন্নাইয়ের তুলনায় ২ পয়েন্ট কম থাকায় (১৪ ও ১২) বেঙ্গালুরুকে শুধু জিতলেই হত না, রান রেটেও এগিয়ে থাকার দরকার ছিল।

এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামা বেঙ্গালুরু ২০ ওভারে তোলে ৫ উইকেটে ২১৮ রান। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির ব্যাট থেকে আসে ৫৪ রানের ইনিংস। এ ছাড়া কোহলি ২৯ বলে ৪৭, রজত পতিদার ২৩ বলে ৪১ এবং ক্যামেরন গ্রিন ১৭ বলে অপরাজিত ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন।

চেন্নাইকে শেষ চারে ওঠার জন্য ২০১ রান তুললেই হত, তবে বেঙ্গালুরুর দরকার ছিল কমপক্ষে ১৮ রানের জয়।

রাচিন রবীন্দ্র ৩৭ বলে ৬১ ও আজিঙ্কা রাহানে ২২ বলে ৩৩ রান করে ফিরে গেলে জয়ের পথ কঠিন হয়ে পড়ে চেন্নাইয়ের। তবে প্লে-অফে ওঠার প্রয়োজনীয় রান তুলতে শেষ ৫ ওভারে দরকার ছিল ৭২ রানের। যা অনেকটাই নাগালে নিয়ে আসেন জাদেজা ও ধোনি। কিন্তু ধোনি ১৩ বলের ইনিংসে ৩ চার ১ ছয়ে ২৫ রান করে আউট হওয়ার পর জাদেজাও আর সামাল দিতে পারেননি। ২২ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকা এই বাঁহাতি ম্যাচের শেষ দুই বলে কোনো রানই নিতে পারেননি।

চেন্নাইয়ের ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ১৯১ রানে, বেঙ্গালুরু ম্যাচ জেতে ২৭ রানে। লিগে ১৪ ম্যাচ শেষে চেন্নাই, বেঙ্গালুরু দুই দলের পয়েন্টই ১৪ করে। তবে ধোনিদের তুলনায় (০.৩৯২) কোহলির দলের রান রেট বেশি (০.৪৫৯)।