ইসলামাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ: ইমরানের গোপন নথি সরানোর প্রমাণ নেই

ইমরান খান | ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের বিরুদ্ধে তারবার্তা (সাইফার) মামলা নতুন মোড় নিয়েছে। গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এ মামলায় নতুন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, ইমরান খান তাঁর কাছে গোপন রাষ্ট্রীয় নথি রেখেছেন বা তাঁর কাছে রাখা এসব নথি হারিয়ে গেছে, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফআইএ) কাছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাঁকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের প্রমাণ হিসেবে একটি তারবার্তা ফাঁস করতে চেয়েছিলেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বলছে, ওই তারবার্তার মাধ্যমে ইমরান প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে।

সাইফার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার বিরুদ্ধে ইমরান খান ও তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির দায়ের করা আপিলের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি মিয়ানগুল হাসান আওরঙ্গজেবের দ্বৈত বেঞ্চ এ মামলায় পর্যবেক্ষণ দেন।

এর আগে বাদীপক্ষের কৌঁসুলি সালমান সফদার আদালতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদন জমা দেন, যাতে তারবার্তা কাদের কাছে গিয়েছিল সেই তালিকা রয়েছে। আদালতের বিশেষ কৌঁসুলি হামিদ আলী শাহ যখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাওয়া তারবার্তার বিষয়টি তুলে ধরে বিচারপতি ফারুক বলেন, ইমরান খান তারবার্তা রেখে দিয়েছিলেন, এমন কোনো প্রমাণ তদন্ত সংস্থার কাছে কি আছে? মুখ্য সচিব সেটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে দিয়েছিলেন, এমন কোনো প্রমাণ কি আছে?

বিশেষ কৌঁসুলি বলেন, ‘তখনকার মুখ্য সচিব আজম খান আদালতকে বলেছেন, তিনি তখনকার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের হাতে তারবার্তা দিয়েছিলেন, যা আর ফেরত নেওয়া হয়নি। তবে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন রাখেন, এটা জনশ্রুতি। হতে পারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিবকে সেটি ফিরিয়ে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু আমরা কীভাবে জানব যে সেটি ফেরত দেওয়া হয়নি?’

কৌঁসুলি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এক টেলিভিশন চ্যানেলে বলেছিলেন, এই তারবার্তা তাঁর কাছে আছে। আদালত বলেন, রাজনীতিবিদেরা জনগণের কাছে এ ধরনের অনেক কথাই বলেন।

মুখ্য সচিব আজম খানের কথিত অপহরণের বিষয়ে নথিভুক্ত ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআইআর) নিয়ে কী ঘটেছিল, তা আদালতকে জানাতে বিচারপতি রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলিকে আদেশ দেন। আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা আদালতকে জানাতে হবে।