খেলা ডেস্ক: খেলেছে ম্যানচেস্টার সিটি ও টটেনহাম। আর এ দু’দলের ম্যাচের দিকে প্রবল আগ্রহে তাকিয়েছিল আর্সেনাল। সিটি পয়েন্ট হারালেই যে দরজা খুলে যায় মিকেল আরতেতার দলের।
কিন্তু পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটিকে আটকাবে কে? এপ্রিল থেকে টানা জয়ের মধ্যে থাকা সিটি টটেনহামকে হারিয়েছে ২-০ গোলে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে দুটি গোলই করেছেন আর্লিং হলান্ড।
এ জয়ে আর্সেনালকে টপকে প্রিমিয়ার লিগ পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠেছে সিটি। ১৯ নভেম্বর ওয়েস্ট হামকে হারালেই টানা চতুর্থ লিগ শিরোপা জিতবে গার্দিওলার দল। আর্সেনালের সুযোগ থাকবে শুধু সিটি পয়েন্ট খোয়ালে।
৩১তম রাউন্ড থেকে একটি পয়েন্টও না হারানো সিটি টটেনহাম ম্যাচ নিয়ে বাড়তি চাপেই ছিল। ২০১৯ সালে টটেনহামের নতুন স্টেডিয়ামে খেলা শুরুর পর এখানে লিগের ম্যাচ জিততে পারেনি সিটি। এমনকি একটি গোলও ছিল না হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নদের।
আজ গোলের সেই গোলখরা কাটে ম্যাচের ৫২তম মিনিটে। কেভিন ডি ব্রুইনার গোলমুখে বাড়ানো বল শুধু জায়গামতো পৌঁছে পায়ের টোকায় জালে জড়ান হলান্ড। এই গোলটিই অবশ্য শোধ দেওয়ার সহজ সুযোগ পেয়েছে টটেনহাম।
ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে সিটির বদলি গোলকিপার স্টেফান ওরটেগাকে একা পেয়ে যান হিউন-মিন সন। কিন্তু টটেনহামের কোরিয়ান তারকা তাড়াহুড়া করে শট নেন সোজাসুজি, এগিয়ে আসা ওরটেগা এক পা বিছিয়ে দিয়ে গোল প্রতিহত করে ফেলেন। ওরটেগার এই সেভ অনেককে মনে করিয়ে দিতে পারে ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের কোলো-মুয়ানির শটে আর্জেন্টাইন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজের সেভকে। ম্যাচের ওই সময়টা টাচলাইনে থাকা সিটি কোচ গার্দিওলা মাথায় হাত দিয়ে হা-হুতাশ করতে করতে এক পর্যায়ে উল্টো হয়ে মাটিতেই পড়ে যান।
গার্দিওলার অমন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার কারণ, টটেনহাম ম্যাচ ড্র করলেই শিরোপা হাতছাড়া হয়ে যেত সিটির।
তবে সনের মিসের পর যোগ করা সময়ে সিটি উল্টো দ্বিতীয় গোলও পেয়ে যায়। জেরেমি ডকুকে পেদ্রো পোরো বক্সের ভেতরে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় সিটি। যা জোরালো শটে কাজে লাগাতে ভুল হয়নি হলান্ডের। লিগে এটি তাঁর ২৭তম গোল।
এই গোলে সিটির পয়েন্ট তালিকার এক নম্বরে ওঠা নিশ্চিত তো হয়েছেই, গোল ব্যবধানেও আর্সেনালের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে সিটি। আর্সেনালের গোল ব্যবধান ৬১, সিটির ৬০। অবশ্য গোল ব্যবধানের প্রশ্ন তখনই আসবে, যদি শেষ ম্যাচে সিটি ড্র করলে বা হারলে দুই দলের পয়েন্ট সমান হয়ে যায়। আপাতত পয়েন্টে এগিয়ে সিটিই।
সিটির পয়েন্ট ৩৭ ম্যাচে ৮৮, আর্সেনালের ৮৬।