সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম | ছবি: জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: কলকাতায় হত্যাকাণ্ডের শিকার আনোয়ারুল আজীমের সংসদীয় আসন ঝিনাইদহ–৪ এখনই শূন্য ঘোষণা করছে না জাতীয় সংসদ সচিবালয়। এ জন্য জাতীয় সংসদ আরও অপেক্ষা করবে। আজ রোববার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম ১২ মে দর্শনা সীমান্ত হয়ে কলকাতায় যান। পরদিন কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে খুন হন তিনি। ২২ মে তাঁর খুন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুই দেশের পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

কোনো সংসদ সদস্যের মৃত্যু হলে তাঁর আসন শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানায় তারা। এরপর কমিশন ওই আসনে উপনির্বাচনের আয়োজন করে। কোনো আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, অতীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এ জন্য তাঁরা আরও অপেক্ষা করবেন। এখানে সমস্যা হচ্ছে তাঁর মরদেহ এখনো পাওয়া যায়নি। এ ক্ষেত্রে সংসদকে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে মৃত্যুর বিষয়টি জানতে হবে। ওই সংসদ সদস্যের মৃত্যুসনদ বা এ–সংক্রান্ত কোনো কাগজ আসতে হবে, যেখানে প্রমাণিত হবে তিনি মারা গেছেন। তবে স্পিকার আশা করেন, আগামী ৫ জুন দ্বাদশ সংসদের তৃতীয় অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই বিষয়টির একটি সুরাহা হবে।

অবশ্য আনোয়ারুল আজীমের আসন শূন্য ঘোষণা করা না হলেও জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটে ঝিনাইদহ–৪ আসনসংক্রান্ত তথ্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সংসদের ওয়েবসাইটে সংসদ সদস্যের আসনভিত্তিক তথ্য আছে। সেখানে সংসদ সদস্যদের নাম, আসনের নম্বর, ছবি ও দলের নামসহ কিছু তথ্য থাকে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ঝিনাইদহ–৪ আসনসংক্রান্ত তথ্য দেখা যায়নি।

ঝিনাইদহের চারটি আসনের মধ্যে ঝিনাইদহ–২ ও ঝিনাইদহ–৩ আসনের তথ্য সংসদের ওয়েবসাইটে পাওয়া গেছে। আর ঝিনাইদহ–১ আসনটি শূন্য হয়েছিল সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে। ওই আসনে উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী নায়েব আলী জোয়ার্দার আজ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁর তথ্য ওয়েবসাইটে হালনাগাদ ছিল না।