গালিবুর রহমান শরীফ | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি পাবনা: পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের সংসদ সদস্য গালিবুর রহমান শরীফের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু।

১৮ মে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বরাবর লিখিত এ অভিযোগ করেন। অভিযোগে গালিবুর রহমান শরীফের বিরুদ্ধে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের হুমকি দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে। 

আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এবারের নির্বাচনে তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে লড়ছেন। একই পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার (আনারস) ও ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকী (ঘোড়া প্রতীক) নির্বাচন করছেন।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বিগত ১৩ মে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারের পক্ষে কাজ করছেন সংসদ সদস্য গালিবুর রহমান শরীফ। তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে রানার পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সংসদ সদস্য দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে আনারস প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করার জন্য প্রভাবিত করছেন। এ ছাড়াও সাংসদ তার ছোট ভাই ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমালকে আনারস প্রতীকের পক্ষে প্রচারণার জন্য মাঠে নামিয়েছেন।

আবুল কালাম আজাদের অভিযোগ, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করার জন্য নির্দেশনা ও বিধি রয়েছে। কিন্তু নির্দেশনা উপেক্ষা ও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সাংসদ গালিব শরীফ আনারস প্রতীকের পক্ষে বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তারের জন্য কাজ করছেন। তিনি ঈশ্বরদীতে অবস্থান করে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উপজেলা নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছেন। তার এই কর্মকাণ্ড নির্বাচনি আচরণবিধির ২২ এর ১ ও ২ উপধারা এবং ৩১ ধারার সরাসরি লঙ্ঘন।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন, এমপির প্রভাব বিস্তারের কারণে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত হওয়ার বিষয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে সংসদ সদস্য গালিবুর রহমান শরীফের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি যেন কেউ লঙ্ঘন না করেন, সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

কালের কন্ঠর প্রতিবেদনের একাংশের স্ক্রিনশট

এদিকে দৈনিক সংবাদপত্র ‘কালের কন্ঠ’য় প্রকাশিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনেও দাবি করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত তৃতীয় ধাপে  ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৯ মে।