রাবির বহিষ্কৃত চার নেতা শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন, নিয়াজ মোরশেদ, আশিকুর রহমান আশিক এবং কাবিরুজ্জামান রুহুল | ছবি: সংগৃহীত |
প্রতিনিধি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় চার নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত চার নেতা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার (ডন), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ ও আশিকুর রহমান (অপু) এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাবি শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। তাঁদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সময়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব উল্লেখিত ব্যক্তিদের আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে তিন-চার দিন ধরে বহিরাগত ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করেছিল, তাদের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বহিষ্কার করেছে। এর মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো ছাত্রলীগে অন্যায়কারীর জায়গা নেই, অন্যায়কারীর কোনো দল বা পরিচয় থাকতে পারে না। অন্যায়কারীর পরিচয় শুধুই অন্যায়কারী। ভবিষ্যতে কাউকে এ ধরনের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করার আগে ভাবতে বাধ্য হবে এবং দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখবে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত ১১টা থেকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ছয়টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় এক পক্ষ অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে। অপর পক্ষ মাদার বখশ হলের দিকে অবস্থান নিয়ে এই হামলা চালায়।
সংঘর্ষে জড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এবং শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের পক্ষ।
সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ছাত্রলীগ নেতা শাহিনুল ইসলাম সরকার, আশিকুর রহমান, কাবিরুজ্জামান রুহুল সংঘর্ষ চলাকালে নিয়াজ মোর্শেদের পক্ষে অংশ নিয়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করেছেন।