নির্বাচনী প্রচারে আহতদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতদের দেখতে ছুটে যায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারণার সময় অপর প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ৬ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। 

শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলা সদরের পিয়ারাখালী এলবাসের মোড়ে হামলার এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন— ওই এলাকার রেফেজ শেখের ছেলে ও ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পরশ শেখ, মজিবর মন্ডলের ছেলে মিজান মন্ডল, আব্দুস সাত্তারের ছেলে আমিরুল ইসলাম, সাবের আলী মন্ডলের ছেলে মনিরুজ্জামান মোজদার, সলিমপুর ইউনিয়নের আপিলের ছেলে আশিক।

আহতদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা সবাই মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের কর্মী-সমর্থক।

আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার রাতে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পরশ ও মিজান জানান, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর প্রচারের সময় আনারস প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারের সমর্থক উপজেলা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আবির হোসেন শৈশব, পৌর ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ রনি, যুবলীগ কর্মী সুমন, মানিকসহ ১৪ থেকে ১৫ জনের একটি দল মোটরসাইকেল বহর নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাদের হাতে থাকা লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে রক্তাক্ত করে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু জানান, নির্বাচনে আনারসের পরাজয় নিশ্চিত জেনে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। 

এই বিষয়ে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আবীর হোসেন শৈশব বলেন, মোটরসাইকেল প্রার্থীর সমর্থকরা আনারস সমর্থকদের ধাওয়া করা নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় তিনি ছিলেন না বলে দাবী করেন। 

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, হামলার ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন

ঈশ্বরদীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকের ওপর হামলার অভিযোগ

বিস্তারিত পড়ুন