যমজ দুই ভাই রাহাদ ইসলাম ও রিয়াদ ইসলাম। দুজনই এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি জয়পুরহাট: মো. রাহাদ ইসলাম ও মো. রিয়াদ ইসলাম মাত্র এক মিনিটের বড়-ছোট। যমজ দুই ভাইয়ের চেহারাও প্রায় একই রকম। তারা এবার জয়পুরহাটের আক্কেলপুর সরকারি ফজর উদ্দিন (এফইউ) পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। গতকাল রোববার প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, যমজ দুই ভাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। দুই ভাইয়ের এমন সাফল্যে তাদের মা-বাবা, শিক্ষক ও প্রতিবেশীরা খুশি।

রাহাদ ও রিয়াদ আক্কেলপুর উপজেলার ভানুরকান্দা গ্রামের জিল্লুর রহমান ও রানু বেগম দম্পতির ছেলে। জিল্লুর রহমানের গ্রামে একটি কীটনাশকের দোকান রয়েছে। রানু বেগম একজন গৃহিণী। এই দম্পতির তিন ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে রাহুল ইসলাম ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। তাঁর ছোট ভাই রাহাদ ও রিয়াদ যমজ। তাদের চেহারা একই রকম হলেও রাহাদের উচ্চতা একটু বেশি হওয়ায় যমজ দুই ভাইকে এলাকাবাসী ও স্কুলশিক্ষকদের চিনতে সমস্যা হয় না।

সোমবার দুপুরে ভানুরকান্দা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, রাহাদ ও রিয়াদ তাদের বাবার কীটনাশকের দোকানে বসে দোকানদারি করছে। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় দোকানের সামনে থেমে দুই ভাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন।

সাফল্যের পেছনের গল্প জানতে চাইলে রাহাদ ও রিয়াদ বলে, তারা দুই ভাই রুটিনমাফিক পড়াশোনা করেছে। কখনো পড়াশোনায় ফাঁকি দেয়নি। এ কারণে ভালো ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ভবিষ্যতে দুজনের প্রকৌশলী হওয়ার ইচ্ছা।

তাদের মা রানু বেগম বলেন, ‘আমার যমজ এই দুই সন্তানকে পড়াশোনার বিষয়ে কখনো আমাকে তাগাদা দিতে হয়নি। এমনিতে তারা পড়াশোনার সময় পড়াশোনা করত, আবার খেলাধুলার সময় খেলাধুলা করত। যমজ দুই ছেলের ভালো ফলাফলে আমরা মা-বাবা গর্বিত।’

প্রতিবেশী সাফিনুর রহমান বলেন, ‘আমাদের গ্রামের যমজ দুই ভাই রাহাদ ও রিয়াদ এসএসসি পরীক্ষায় সব বিষয়ে এ প্লাস পেয়েছে। তাদের সাফল্যে আমরা গ্রামবাসী খুশি হয়েছি।’

আক্কেলপুর সরকারি ফজর উদ্দিন (এফইউ) পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল মতিন বলেন, ‘রাহাদ ও রিয়াদ যমজ দুই ভাই খুব ভালো ছাত্র। এসএসসি পরীক্ষায় তারা সব বিষয়ে এ প্লাস পেয়েছে। আমরা তাদের সাফল্যে গর্বিত।’