গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে সাংবাদিক সংগঠন ও অংশীজনদের মতামত নেওয়া শুরু

গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়ার ওপর বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মতামত নেওয়া শুরু করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সচিবালয়, ঢাকা, ১২ মে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

বাসস, ঢাকা: গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন-২০২১-এর খসড়ার ওপর পুনরায় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও অংশীজনদের মতামত নেওয়া শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে রোববার দুপুরে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় মতামত নেওয়া শুরু করে মন্ত্রণালয়।

সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনে শ্রম আইনের অধীনে সাংবাদিকদের প্রাপ্য সব ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। সংবাদমাধ্যমকর্মীরা শ্রম আইনের আওতায় যে সুবিধাগুলো পান, সে সুবিধাগুলোর শতভাগ সুরক্ষা প্রস্তাবিত আইনে আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হবে। যদি কোথাও ব্যত্যয় থাকে, সে জায়গাগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রম আইনের অধীনে সংবাদমাধ্যমকর্মীরা যে সুরক্ষা পান, তার কোন ব্যত্যয় বা ঘাটতি প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনে থাকবে না। তিনি বলেন, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। এ জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমকর্মী আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

সব অংশীজনের সহযোগিতা ও মতামতের ভিত্তিতে গণমাধ্যমকর্মী আইন সুন্দর পরিসমাপ্তির দিকে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।

সাংবাদিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অন্য অংশীজনদের গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়ার ওপর লিখিত মতামত দেওয়ার আহ্বান জানান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

সভায় বেসরকারি টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এটকো) সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য ফরিদ হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ওনাব) সভাপতি মোল্লাহ আমজাদ হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।