রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোলচিহ্নিত) অস্ত্র হাতে মহড়া | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি রাজশাহী: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার রাত ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

পুলিশ আসলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের আবাসিক এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এরপর থেমে থেমে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এতে রাবি ক্যাম্পাসের আবাসিক হলের ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে এখনও উত্তেজনা চলছে।

ক্যাম্পাসের বাইরে ও ভেতরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

জানা যায়, রাবি সোহরাওয়ার্দী হলে শনিবার রাত ১১টার পর টিভিরুমে বসা নিয়ে হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের সঙ্গে হল কমিটির সহ-সভাপতি আতিকুর রহমানের কথা কাটাকাটি হয়। আতিকুর রহমান রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। এ-নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের মহড়াও দেখা যায়। পুরো ক্যাম্পাস জুড়েই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে  ক্যাম্পাসের বাইরে ও ভেতরে অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান করছে।

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

ঘটনার পর রাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হুমায়ূন কবির জানান, তারা এখনও পরিস্থিতি বুঝে উঠতে পারেননি। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। পুলিশও কাজ করছে।  বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেওয়ার পর তারা এ ব্যাপারে বলতে পারবেন।  

রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক পারভেজ জানান, খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও পুরো ঘটনা জানেন না। এই ব্যাপারে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।