নিজস্ব প্রতিবেদক: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন মিলমালিকেরা। আজ মঙ্গলবার থেকে নতুন এই দাম কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে বাণিজ্যসচিব বরাবর চিঠি দিয়েছে কোম্পানিগুলো সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। তবে সয়াবিনের মূল্যবৃদ্ধির ‘সুযোগ নেই’ বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম।
আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সয়াবিনের আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে ভ্যাট প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়েছে, এটা ঠিক। এখন ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে হিসাব করা হবে; এনবিআরকে জানানো হবে। ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছেন—এমন চিঠি এখনো পাননি বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ভোজ্যতেলের কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জারিকৃত এসআরওর মেয়াদ ১৫ এপ্রিল শেষ হয়েছে। ফলে ১৬ এপ্রিল থেকে বাজারে ভোজ্যতেল (পরিশোধিত পাম তেল ও পরিশোধিত সয়াবিন তেল) ভ্যাট অব্যাহতি–পূর্ববর্তী মূল্যে সরবরাহ করা হবে এবং আজ থেকে বাজারে এই দাম কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছেন মিলমালিকেরা।
বাণিজ্যসচিবকে দেওয়া চিঠি অনুসারে, প্রতি লিটারে ১০ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭৩ টাকা। এ ছাড়া বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮৪৫ টাকা। ফলে ৫ লিটার বোতলের লিটারপ্রতি দাম বাড়বে ৯ টাকা। আর প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩২ টাকা।
রোজার আগে ১ মার্চ যখন বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিনের দাম ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৩ টাকা করা হয়, তখন ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮০০ টাকা। ওই সময় আন্তর্জাতিক বাজারে পাম তেলের দাম ওঠানামার মধ্যে থাকায় পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়নি। এবার পামের দামও নির্ধারণ করে দিয়েছে কোম্পানিগুলো।