আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসবের সমাপনী দিনে চট্টগ্রাম সুন্দরম–এর নাটক ‘স্বপ্ন কাহন’এর একটি দৃশ্য। শনিবার জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বিশেষ প্রতিনিধি: অনন্য অভিনয়প্রতিভা প্রদর্শন করে রাজধানীর দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিবন্ধী নাট্যশিল্পীরা। শনিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় শেষ হলো দুই দিনের আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্পী উৎসব, ঢাকা-২০২৪।
দেশের অন্যতম নাট্যসংগঠন ঢাকা থিয়েটার ও ব্রিটিশ কাউন্সিল যৌথভাবে প্রথমবারের মতো প্রতিবন্ধী শিল্পীদের নিয়ে এই আন্তর্জাতিক শিল্প উৎসব আয়োজন করে। এতে সহায়তা দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইআইডি ও প্রতিবন্ধীদের নাট্যসংগঠন সুন্দরম। উৎসবে সুন্দরমের আটটি বিভাগীয় দল ও কলকাতার প্রতিবন্ধী শিল্পীদের নাট্যদল কলকাতার জনসংস্কৃতি সেন্টার ফর দ্য থিয়েটার অব দ্য ওপ্রেসড উৎসবে অংশ নেয়। প্রতিবন্ধী শিল্পীরা দুই দিনে ১০টি নাটক মঞ্চস্থ করেন। উৎসবে প্রায় ২৪০ জন প্রতিবন্ধী শিল্পী অংশ নেন।
এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবেও শিল্প ও কারুকলায় কাজ করেন, এমন প্রতিবন্ধী শিল্পীরাও উৎসবে অংশ নেন। প্রতিবন্ধী এই চারু ও কারুকলার শিল্পীদের শিল্পকর্ম নিয়ে ‘অদম্য’ নামে দুই দিনব্যাপী একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। জাতীয় নাট্যশালার লবিতে প্রথম দিনে এই প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন দেশের অন্যতম ফিজিওথেরাপির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজডের (সিআরপি) প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেইলর।
‘সকলের সাথে সকলে মিলে মানবিক বিশ্ব গড়ব’ স্লোগান নিয়ে দুই দিনব্যাপী এই উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান হলো শনিবার রাত নয়টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে। সমাপনী ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, বক্তব্য দেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের কর্মসূচি পরিচালক ডেভিড নকস, সভাপতিত্ব করেন উৎসবের পরিচালক নাসির উদ্দীন ইউসুফ।
প্রতিমন্ত্রী তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিবন্ধীদের প্রবেশগম্যতা সহজ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে আজ সকালে জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে দুটি সেমিনার হয়েছে প্রতিবন্ধীদের প্রবেশগম্যতা ও তাদের জন্য অর্থায়ন বিষয়ে। এ ছাড়া চিত্রশালায় ছিল প্রতিবন্ধীদের নিয়ে ও প্রতিবন্ধী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
সমাপনী দিনে বিকেল থেকে শুরু হয় নাটকে মঞ্চায়ন। আজও পাঁচটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। নাটকগুলো ছিল সুন্দরম চট্টগ্রামের নাটক অসীম দাস নির্দেশিত ‘স্বপ্ন কাহন’, সিলেটের নাটক সামিউন জাহান নির্দেশিত ‘সংগতি’, রাজশাহীর নাটক আমির জামান নির্দেশিত ‘পিতৃগণ’, ময়মনসিংহের নাটক আল জাবির নির্দেশিত ‘কাজলরেখা’এবং খুলনার নাটক শামীম সাগর নির্দেশিত ‘অতঃপর করিম বাওয়ালী’।