দেশের কোথাও কোথাও আজ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে | ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের কোথাও বজ্রসহ বৃষ্টি আবার কোথাও তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে আজ শনিবার। আবহাওয়া অধিদপ্তর এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আবহাওয়ার অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু–এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে শনিবার (আজ)। এসব এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। আগামীকাল রোববার এবং পরদিন সোমবারও সিলেট বিভাগে এমন আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট অঞ্চলে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে একই সময়ে দেশের অন্য কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি।

সিলেট অঞ্চলে যখন বৃষ্টি হচ্ছিল, তখন রাজশাহীতে তীব্র গরম অনুভূত হয়। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ ছাড়া গতকাল চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ ডিগ্রি, নওগাঁর বদলগাছীতে ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি, বাগেরহাটের মোংলায় ৩৬ ডিগ্রি ও কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ এবং ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলে থাকে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

কয়েক দিন ধরে রাজধানী ঢাকাতেও তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে আজ দিনের তাপমাত্রা ১–২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। বর্তমানে বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গাসহ রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আজও অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরমে অস্বস্তিবোধ হতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকলে ঘাম শুকায় না। ফলে এতে অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, যখন যে এলাকায় বৃষ্টি হবে, তখন সাময়িকভাবে সে এলাকায় কিছুটা তাপমাত্রা কমবে। বৃষ্টি বন্ধ হলে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, বাতাস ঊর্ধ্বমুখী থাকলে জলীয় বাষ্প ওপরে উঠে যায়। আর যেসব অঞ্চলের বাতাস ঊর্ধ্বমুখী নয়, সেসব অঞ্চলে জলীয় বাষ্প থেকে যাচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি হচ্ছে।