নিউ তাইপে শহরের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া এক ব্যক্তি | ছবি: এএফপি
পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: তাইওয়ানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে সাতজন হয়েছে। আহত হয়েছে ৭৩৬ জন। তাইওয়ানের জাতীয় অগ্নিনির্বাপণ কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। আজ বুধবার সকালে আঘাত হানা এ ভূমিকম্পে বেশ কিছু ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আজ স্থানীয় সময় সকাল আটটার ঠিক আগে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তাইওয়ান। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। এর উৎপত্তি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।
কর্মকর্তারা বলেন, আজ সকালে হুয়ালিয়েন শহরের পাহাড়ে সাতজনের একটি পর্বতারোহীর দল ভ্রমণ করছিল। ভূমিকম্পের সময় পাহাড় থেকে আলগা হয়ে পড়া পাথরে পিষ্ট হয়ে তাঁদের তিনজন মারা গেছেন।
এ ছাড়া ভূমিকম্পের সময় হুয়ালিয়েন শহরে একটি সুড়ঙ্গের কাছে ভূমিধসের কবলে পড়ে এক ট্রাকচালক নিহত হন।
হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে তাইওয়ানের জাতীয় অগ্নিনির্বাপণ সংস্থা বলেছে, প্রাণহানির ঘটনাগুলো সব হুয়ালিয়েন শহরে ঘটেছে। শহরটির অবস্থান ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে। আহত ব্যক্তিদের অবস্থা কতটা গুরুতর, তা উল্লেখ করেনি সংস্থাটি।
স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, হুয়ালিয়েন শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি বহুতল ভবন হেলে পড়েছে। নিউ তাইপে শহরে একটি গুদাম ভেঙে পড়েছে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন তাইওয়ানের সেনাবাহিনীও উদ্ধার তৎপরতায় সহযোগিতা করছে।
ভূমিকম্পের পর পরই তাইওয়ান, জাপান ও ফিলিপাইনে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। তবে সকাল ১০টার দিকে সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়।
তাইওয়ানে গত ২৫ বছরের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর আগে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত আনে। তাতে প্রায় ২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে তাইওয়ানের অবস্থান। তবে ভূমিকম্পপ্রবণ এ অঞ্চলটিতে কঠোর নির্মাণ বিধি চালু থাকায় এবং দুর্যোগ নিয়ে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা তৈরির কারণে বড় বিপর্যয় এড়াতে পারছে তারা।