হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ |
নিজস্ব প্রতিবেদক: পার্বত্য চট্টগ্রামে সক্রিয় সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। দেশের ২০টি মানবাধিকার সংগঠনের এ জোট আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায়। একই সঙ্গে তারা বলেছে, কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানে সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানি বা নিপীড়নের শিকার না হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি এপ্রিল মাসের শুরুতে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংকের দুটি শাখায় এবং কৃষি ব্যাংকের একটি শাখায় কেএনএফের (কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) সশস্ত্র দলের নেতৃত্বে ব্যাংকে হামলা ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া রুমা শাখার ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষী, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ওপর আক্রমণ এবং আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটায় কেএনএফ। এসব সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৭ এপ্রিল থেকে যৌথ বাহিনী বান্দরবানে ব্যাপক অভিযান শুরু করে।
এ অভিযানে বম ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর নাগরিকদের আটক, গ্রেপ্তার ও নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে এইচআরএফবি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের চলাফেরার স্বাধীনতা সীমিত করা হয়েছে এবং মোবাইল নেটওয়ার্কের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে সাধারণ মানুষ আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এইচআরএফবির বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে ফলপ্রসূ সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। কেএনএফের বিরুদ্ধে পরিচালিত রাষ্ট্রীয় বাহিনীর অভিযানে সাধারণ জনগণ যাতে কোনো ধরনের হয়রানি, নির্যাতন বা নিরাপত্তাহীনতার শিকার না হন এবং তাঁদের সাংবিধানিক অধিকারগুলো যেন কোনোভাবে লঙ্ঘিত না হয়, তা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
বান্দরবানে কেএনএফের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের কারণে সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগগুলো নিরপেক্ষভাবে খতিয়ে দেখা ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিবৃতিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন হামিদা হোসেন, সুলতানা কামাল, দেবাশীষ রায়, ইফতেখারুজ্জামান, শাহীন আনাম, ফারুখ ফয়সল, ফওজিয়া মোসলেম, খুশী কবির, জাকির হোসেন, শামসুল হুদা, সারা হোসেন, সঞ্জীব দ্রং, সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, রঞ্জন কর্মকার, সালেহ আহমেদ, সরদার জাহাঙ্গীর হোসেন, মনি রানী দাস, দেওয়ান জামান, পল্লব চাকমা, রোকেয়া রফিক বেবী, তাসনীম আজীম, আবদুস সাত্তার ও আশরাফুন্নেসা মিষ্টি।