জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমুর রহমানের স্মরণসভায় বক্তব্য দেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চুরি ছাড়া আওয়ামী লীগের কোনো কাজ নাই, সবখানে চুরি। স্কুলের শিক্ষক বা পিয়ন নিয়োগ দেবে, হাসপাতালের কর্মচারী নিয়োগ দেবে, যেখানে যত নিয়োগ আছে, ওদের টাকা লাগবেই। চুরি করতে করতে তারা দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে।’
আজ রোববার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানা বিএনপি আয়োজিত জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমুর রহমানের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তো আর রাজনৈতিক দল নেই, এরা সম্পূর্ণভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। ওরা কোনো সংগঠন না, শক্তিশালীও না। এখন তারা রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে দল চালায়, সরকার চালায়। এখন আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ নাই, এরা পুলিশ লীগ হয়ে গেছে।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘অর্থনীতি শেষ, ব্যাংকগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আপনার ইমপোর্ট ভালো হচ্ছে না, এক্সপোর্টও বাড়ছে না। অর্থনীতি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতিবিদেরা বারবার বলছেন, এখন থামেন, মেগা প্রজেক্ট দিয়ে মেগা দুর্নীতি বন্ধ করেন। না হলে এই দেশটা আর টিকবে না। যেই দেশে কোনো জবাবদিহি থাকে না, সেই দেশে কখনো গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা যায় না, মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করা যায় না।’
আজকে যারা ক্ষমতায় বসে আছে, তারা ফ্যাসিবাদী কায়দায় একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, একবার ১৯৭৫ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল একদলীয় শাসন। এখন আবারও একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য সর্বপ্রথম যে কাজটা করেছে, নির্বাচনের ব্যবস্থাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচন থাকলেই না হয় বিরোধী দল আসবে বা অন্য রাজনৈতিক দলগুলো আসবে, তাই নির্বাচনব্যবস্থাই থাকবে না।
উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কারও ওপর নির্ভর করে আপনারা গণতন্ত্র আনতে পারবেন না। নিজের পায়ের ওপর নির্ভর করতে হবে। নিজের শক্তির ওপর নির্ভর করতে হবে। এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। ওমুক করে দেবে, তমুক করে দেবে না, আমাদের নিজেকেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে জনগণকে সঙ্গে দিয়ে এই সরকারকে বাধ্য করতে হবে, একটা সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়ার।’
রুহিয়া থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল জব্বারের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহসভাপতি আবদুল হালিম, সদর থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল হামিদ বক্তব্য দেন।