চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি চট্টগ্রাম: পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে আশপাশের সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ আছে বলে বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সে সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, কেএনএফের সঙ্গে আশপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে, পার্শ্ববর্তী দেশে যারা ইতিমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল, তাদের অস্ত্রশস্ত্র তাদের (কেএনএফ) কাছে এসেছে বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে, ইতিমধ্যে ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে মুক্ত করা হয়েছে। তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
দ্রুতই মুক্ত হবেন জিম্মি নাবিকেরা
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে দ্রুতই তাঁদের মুক্তি হবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা আছে, সর্বমুখী প্রচেষ্টা পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে, তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে এবং নাবিকেরা ভালো আছেন। তাঁদের খাবারদাবারের কোনো অসুবিধা নেই, তাঁরা কেবিনে আছেন। যেহেতু আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি শিগগির তাঁদের মুক্ত করা সম্ভবপর হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেই জাহাজের আশপাশে বিদেশি জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি জলদস্যুদের ওপর নানামুখী চাপও রয়েছে। আমরা আশা করছি, শিগগির জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হবে।
মুক্তির দিনক্ষণ বলা সম্ভব না হলেও এ ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, জাহাজে যাঁরা চাকরি করেন ঈদের আগে–পরে হিসাব করে তাঁদের কোনো ছুটি হয় না। তাঁরা যান ছয় মাস কিংবা এক বছরের জন্য। এই জাহাজ যদি হাইজ্যাক না–ও হতো তাহলেও ঈদের আগে তাঁদের জাহাজ ছেড়ে পরিবারের কাছে আসার কথা ছিল না।
বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল, অভিযোগ করে হাছান মাহমুদ বলেন, কিন্তু তাদের এই ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেয়নি, এমনকি বিএনপির নেতা–কর্মীরাও সাড়া দেননি।