মুক্তি পেয়েই লাল–সবুজের পতাকা হাতে উচ্ছ্বাস নাবিকদের

লাল-সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের উচ্ছ্বাস | ছবি-আতিক উল্লাহ খানের ফেসবুক পোস্ট থেকে

প্রতিনিধি চট্টগ্রাম: শনিবার সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা ৮ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ৮ মিনিট) এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। দস্যুরা নেমে যাওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুটি যুদ্ধজাহাজের পাহারায় সোমালিয়া উপকূল ত্যাগ করতে থাকে জাহাজটি। প্রায় এক মাস পর মুক্ত জীবনের স্বাদ পান নাবিকেরা।

মুক্ত জীবনের স্বাদ পেয়ে নাবিকেরা প্রথমেই স্বজনদের মুক্তির খবর দেন। দিনের আলো ফোটার পর লাল-সবুজের পতাকা বুকে নিয়ে ছবি তুলতে থাকেন নাবিকেরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরাও ততক্ষণে নাবিকদের আনন্দ-উচ্ছ্বাসে যোগ দেন। নাবিকেরা এসব ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান স্বজনদের কাছে।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খান বাংলাদেশ সময় বেলা দুইটায় ফেসবুকে চারটি ছবি পোস্ট করেন। নাবিকদের মুক্ত করতে অবিশ্বাস্য চেষ্টার জন্য তিনি মালিকপক্ষ এসআর শিপিংকে (কেএসআরএম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া বন্ধু, পরিবার, স্বজন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

ফেসবুকের পোস্টে চারটি ছবিতে দেখা যায়, দুটিতে বাংলাদেশের পতাকা হাতে জাহাজের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন আতিক উল্লাহ খান। পেছনে ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ। সহকর্মীদের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল ছবিও পোস্ট করেন তিনি।

জাহাজের আরেক নাবিক মো. আসিফুর রহমান রোববার বেলা দুইটার পর ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। ওই পোস্টে তিনি জানান, ‘সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা ৮ মিনিটে বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়েছি।’ অল্প সময়ে জিম্মিদশা থেকে মুক্তির জন্য সরকার ও মালিকপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে আসিফুর রহমান জানান, ‘দীর্ঘ ৩৩ দিন সোমলিয়া জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়ে আতঙ্কে দিন পার করেছি। মৃত্যুকূপে থেকেও সবকিছু মানিয়ে নিয়ে চলার চেষ্টা করেছি। আজ আমাদের প্রকৃত ঈদ।’

নাবিকদের পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে হাতে আসা কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, নাবিকেরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদের সঙ্গে জাহাজের ওপর বসে ছবি তুলছেন। এসব ছবিতেও আগলে রেখেছেন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা।