ট্রেন | প্রতীকী ছবি |
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে আজ সোমবার ছেড়ে যাওয়া পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি আসন নিজেদের বলে দাবি করেন চার যাত্রী। এতে তৈরি হয় বিপত্তি।
আজ বেলা পৌনে ১১টায় কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যায় ট্রেনটি। স্টেশন ছাড়ার আগে ট্রেনের ৯৬ ও ৯৭ নম্বর আসনের (নন–এসি) দাবিদার হয়ে ওঠেন চারজন।
চারজনই দাবি করেন, তাঁরা অনলাইনে টিকিট কেটেছেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা তৈরি হয়। একপর্যায়ে দেখা যায়, দুজনের টিকিট বৈধ। অপর দুজনের টিকিট অবৈধ।
চার যাত্রীর মধ্যে দুজন নারী। তাঁদের সঙ্গে স্টেশনে এসেছিলেন আবু নাঈম নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, যাত্রীদের একজন তাঁর মা, অপরজন বোন। তাঁর বাবা অনলাইনে টিকিট দুটি (৯৬ ও ৯৭ নম্বর আসন) কাটেন। কিন্তু এখন অন্য দুজন যাত্রী এসে আসন দুটি দাবি করেন।
আসন নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে যখন হট্টগোল হচ্ছিল, তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার। তাঁর কাছে আবু নাঈমের দাবি গ্রহণযোগ্য ছিল না।
পরে আবু নাঈম বলেন, ‘একপর্যায়ে অনলাইনে চেক করে দেখা যায়, অপর দুজনের টিকিট বৈধ। আমাদের টিকিট দুটি অবৈধ। কিন্তু আমরা তো অনলাইন থেকেই টিকিট কেটেছিলাম।’
একপর্যায়ে ট্রেন ছেড়ে দেয়। তখন আবু নাঈমের মা-বোন হুড়মুড় করে ট্রেনে উঠে পড়েন। তাঁদের ট্রেনের ভেতরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অপর দুজন নিজ নিজ আসনে বসেছিলেন।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, আবু নাঈমের মা ও বোনের টিকিট বাইরে থেকে কেনা। এখন ট্রেনে টিকিট যাচাইয়ের সময় এই দুই যাত্রীর জরিমানা হতে পারে।
মাসুদ সারওয়ার আরও বলেন, অনলাইন সিস্টেমে কোনোভাবেই এক টিকিট দুবার বিক্রির সুযোগ নেই। কিন্তু প্রতারক চক্র টিকিট এডিটিং করে বিক্রি করে। এ ব্যাপারে তাঁরা আগে থেকেই সতর্ক করে আসছিলেন।