বাল্যবিবাহ | প্রতীকী ছবি |
প্রতিনিধি জয়পুরহাট: তিন মাস আগে নবম শ্রেণির ছাত্রীর (১৬) সঙ্গে এক তরুণের (১৭) বিয়ে হয়েছিল। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার একটি গ্রামে এ বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে। বাল্যবিবাহের কথা গোপন রেখেছিলেন তাদের অভিভাবকেরা। ঈদে আত্মীয়স্বজনেরা এলে ধুমধাম করে কনে বিদায়ের অনুষ্ঠান করবেন। গতকাল শনিবার ছিল ওই অনুষ্ঠান।
কনের বাড়িতে মহা ধুমধামে মেয়েকে বরের হাতে তুলে দেওয়ার আয়োজন করা হয়। গরু-খাসি জবাই করে রান্না করা হয়। এলাকাবাসীকে দাওয়াত করা হয়েছিল। কনের বাড়িতে বর ও তার আত্মীয়স্বজনেরা চলে এসেছেন। এখন ডেকোরেটরের সাজানো প্যান্ডেলে বরযাত্রীদের খাবার পরিবেশের প্রস্তুতি চলছিল। এমন সময় আক্কেলপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম পুলিশ নিয়ে বিয়েবাড়িতে হাজির হন। অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে গেলেও দুজনকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুজনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ডেটাবেজের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ আয়োজনের খবর পান ইউএনও মনজুরুল আলম। গতকাল বেলা আড়াইটায় পুলিশ নিয়ে তিনি বিয়েবাড়িতে হাজির হয়েছিলেন। এ সময় বর ও কনের অভিভাবকেরা দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে গেলেও বরের চাচাতো ভাই ও কনের চাচাকে আটক করে পুলিশ। পরে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনজুরুল আলম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁদের ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন হোসেন বলেন, সাজাপ্রাপ্ত দুজনকে গতকাল সন্ধ্যায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।