ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান | ছবি: রয়টার্স |
পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: ইরানের হামলায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানাতে নতুন বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ বলেছে, ইরানের বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তাঁরা প্রতিহত করেছে।
শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে ইরানের সংখ্যাগরিষ্ঠ হামলা প্রতিহত করেছে বলেছে আইডিএফ। ইসরায়েলি ভূখণ্ড অতিক্রম করার আগেই এই অঞ্চলের কৌশলগত মিত্রদের সঙ্গে অ্যারো (তীর) আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে এই হামলা প্রতিহত করেছে তারা।
তবে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি ঘাঁটিতে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হেনেছে বলেছে আইডিএফ। এতে সামান্য অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে বলেছে এই বাহিনী।
অ্যারো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধীরগতির ড্রোনের বদলে উচ্চ উচ্চতায় থাকা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরাস্ত করতে পারে। এটির নকশাই এভাবে তৈরি। গাজা যুদ্ধের শুরুতে ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণ করা হুতিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপতিত করতে এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করেছে ইসরায়েল।
আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরানের হামলায় একজন আহত হওয়ার খবর জেনেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত হানার পরে একটি সামরিক ঘাঁটিতে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কোন ঘাঁটিতে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে, তা জানানো হয়নি।
হামলায় কে আহত হয়েছেন, তা নিয়ে হাগারি বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে এর আগে ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্যারামেডিক সাত বছরের এক মেয়েকে চিকিৎসা দিয়েছে। আরাদ অঞ্চলে বেদুইন অধ্যুষিত এলাকায় গোলার আঘাতে মেয়েটি আহত হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিবিসিকে বলেছে, দেশটির ভেতরে চলাচলে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে ইসরায়েল এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
টাইমস অব ইসরায়েলে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, দেশটির নাগরিকদের আর আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে থাকতে হবে না। তবে জমায়েত ও সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম এবং স্কুলে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।