পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বাঙালি সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার সকালে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস, আমাদের ঐতিহ্যকে, আমাদের চেতনায় ধারণ করে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বাঙালি সংস্কৃতির বহমান ধারাকে বহতা নদীর মতো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে কোনো রাখঢাক নেই যারা সাম্প্রদায়িকতার, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। সেই বিএনপি হচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতির, বাংলাদেশের চেতনার, মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ, শত্রু। এই শত্রুপক্ষকে অপশক্তিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিহত করতে হবে, পরাজিত করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকাদার। এই বিএনপি দেশে জঙ্গিবাদের বিশ্বস্ত সহচর। এরা বাঙালির সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না। এদের চেতনায় পাকিস্তান, এদের হৃদয়ে পাকিস্তান। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বাংলার চেতনা, বাংলাদেশের জন্মের চেতনার বিরোধী।
বাহাদুর শাহ পার্ককে সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্কে বাঙালির ইতিহাসের, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অনেক স্মৃতি। তাই ঐতিহাসিক স্থানটির কর্তৃপক্ষকে স্মৃতি ধরে রাখার, সংরক্ষণের কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানাই।’
‘পয়লা বৈশাখ ১৪৩১’ উদ্যাপনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী।
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা-৮-এর সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা-৫ আসনে সংসদ সদস্য মশিউর রহমান মোল্লা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সভা শেষে পয়লা বৈশাখের শোভাযাত্রা হয়। পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে শুরু হয়ে গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়। বাদ্য-বাজনা বাজিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা।