ফাইরুজ অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যা করার আগে ফেসবুকে পোস্টে যেসব অভিযোগ করে গেছেন, তা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। কমিটি আজ রোববার থেকে কাজ শুরু করবে। কমিটিকে দ্রুত উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আবুল হোসেন, আইন অনুষদের ডিন মাসুম বিল্লাহ, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ এবং সদস্যসচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার (আইন) রঞ্জন কুমার।

বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন ফাইরুজ অবন্তিকা। গত শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে গভীর রাতেই বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর যে সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে, তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীকে সহায়তার অভিযোগ উঠা শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

অবন্তিকার কয়েকজন বন্ধু বলেন, তিনি ফেসবুক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের নিপীড়নের অভিযোগ করেন। ওই পোস্টে একজন সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে ছেলেটির পক্ষ নিয়ে তাঁর (অবন্তিকা) সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগও করেছেন তিনি। সেখানেই আত্মহত্যার কথা বলেন অবন্তিকা।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বলেন, ‘আত্মহত্যার ঘটনাটি কোনোভাবে কাম্য নয়। ছাত্রীটি কীভাবে নিপীড়ন ও নির্যাতনে শিকার হয়েছেন, সেসব বিষয়ে প্রক্টর অফিসে যা যা লিখিত দেওয়া রয়েছে, তা আমরা সংগ্রহ করব। এ ছাড়া আর যেসব বিষয় রয়েছে, সবকিছু আমরা আমলে নিয়ে গুরুত্বসহকারে তদন্ত শুরু করব।’

জাকির হোসেন বলেন, ‘তদন্ত শুরু করার জন্য প্রথম পর্যায়ে কাল দুপুর ১২টায় সব সদস্যকে নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে নির্ধারণ করা হবে কীভাবে আমরা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করব।’

তদন্ত প্রতিবেদন কত দিনের মধ্যে জমা দেওয়া হবে, এমন প্রশ্নে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘বিষয়টি এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে আমরা দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করব।’