মুম্বাইকে হারিয়ে এবারের আসরে প্রথম জয় পেয়েছে হায়দরাবাদ | আইপিএল |
খেলা ডেস্ক: ২৭৭ রান তাড়ায় ১০ ওভারেই ১৪১ রান তুলে ফেলেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। অর্ধেক ওভারে অর্ধেকের বেশি রান তোলা শেষ। ম্যাচটা জয়ের পথে ভালোমতোই ছিল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। তবে পরের দশ ওভারে একই গতি আর ধরে রাখতে পারেনি মুম্বাই। শেষ ৬০ বলে ১০৫ রান তুলে থামতে হয়েছে ২৪৬ রানে। পান্ডিয়ার দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হেরেছে ৩১ রানে।
তবে ম্যাচ শেষ পর্যন্ত যে–ই জিতে থাকুক, আইপিএলে আজ ব্যাটিং–টক্করের দুর্দান্ত এক ম্যাচই দেখেছেন দর্শকেরা। যে ম্যাচে হয়েছে একের পর এক রেকর্ড। শুধু আইপিএল রেকর্ড নয়, বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটের রেকর্ড। এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান, আইপিএলে দলীয় সর্বোচ্চ রান, কয়েক ওভারের ব্যবধানে একজনের রেকর্ড আরেকজনের ভেঙে দেওয়া—এমন অনেক কিছুই দেখেছে হায়দরাবাদ–মুম্বাইয়ের ম্যাচ।
২৭৭
প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান তোলে হায়দরাবাদ। যা আইপিএল ইতিহাসে কোনো দলের সর্বোচ্চ। এর আগে দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ২৬৩/৫। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে, যে ম্যাচে ৬৬ বলে ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ক্রিস গেইল।
৫২৩
হায়দরাবাদের ২৭৭ রান তাড়ায় মুম্বাইয়ের ইনিংস থামে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৪৬ রানে। দুই দল মিলে উঠেছে ৫২৩ রান। এটি আইপিএলে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১০ সালে চেন্নাই–রাজস্থান ম্যাচে ৪৬৯ রান।
১
হায়দরাবাদ–মুম্বাই ম্যাচের ৫২৩ রান ছেলেদের স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিরই সর্বোচ্চ। পেছনে পড়ে গেছে ২০২৩ সালে সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকা–ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের ৫১৭ রান।
৩৮
হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানরা মেরেছেন ১৮টি ছয়, এরপর মুম্বাইয়ের ব্যাটসম্যানরা মেরেছেন ২০টি। এই ম্যাচে হওয়া ৩৮টি ছয় আইপিএলে সর্বোচ্চ। ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরু–চেন্নাই ম্যাচে হয়েছিল ৩৩টি ছয়।
৬৯
হায়দরাবাদ ও মুম্বাইয়ের ব্যাটসম্যানরা ৩৮টি ছয়ের সঙ্গে মেরেছেন ৩১টি চার। অর্থ্যাৎ, মোট ৬৯টি বাউন্ডারি। আইপিএলে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ বাউন্ডারির রেকর্ড এটি। তবে সমানসংখ্যক বাউন্ডারি দেখা গিয়েছিল ২০১০ সালের চেন্নাই–রাজস্থান ম্যাচেও।
১
আইপিএল তো বটেই, ছেলেদের স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতেও এক ম্যাচে ৩৮টি ছয় রেকর্ড। এত দিন ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড ছিল ২০১৮ আফগান প্রিমিয়ার লিগের বাল্ক–কাবুল ম্যাচের ৩৭ ছয়।
১৬
ম্যাচে হায়দরাবাদের হয়ে ১৮ বলে ফিফটি করেন ট্রাভিস হেড, যা দলটির দ্রুততম। তবে এর চার ওভার পরই হেডের রেকর্ড ভেঙে ১৬ বলে ফিফটি করেন অভিষেক শর্মা।