পবিত্র রমজানের প্রথম দিন। সারা দিন রোজা রেখেছেন পরিবারের সদস্যরা। ইসরায়েলের বাহিনীর হামলায় ঘর বলতে কিছুই অবশিষ্ট নেই। ধংসস্তুপের মাঝে বসেই রোজার প্রথম ইফতার করছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার এই পরিবারটি | ছবি: এএফপি

হাবীবুল্লাহ সিরাজ: মুসলমানদের প্রথম কিবলার দেশ ফিলিস্তিন। বহু নবী-রাসুলের তীর্থভূমি এই ফিলিস্তিন। এখানকার মানুষ রমজানকে বরণ করে নেন একটু অন্যভাবে। রমজানকে স্বাগত জানান রঙিন ফানুস উড়িয়ে। নানা রঙের ফানুস আর ছোট ছোট আতশবাজিতে আলোকময় হয়ে ওঠে ফিলিস্তিনের শহর থেকে গ্রাম। সাজিয়ে তোলেন নিজেদের ঘর, মসজিদ ও অফিস–আদালত। ফিলিস্তিনের অঞ্চলভেদে নানা রকমের ঐতিহ্যবাহী খাবার ইফতার আর সাহ্‌রিতে প্রস্তুত করা হয়।

মাসখান ও মাফতইল দিয়ে ইফতার করেন তাঁরা। মাসখান ও মাফতইল তৈরি করা হয় মুরগির গোশত, রসুন, পেঁয়াজ, তেল ও জয়তুনের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকারের ঘি দিয়ে। খাবারটি দেখতে অনেকটা আমাদের পোলাওয়ের মতো। স্বাদে–ঘ্রাণে অনন্য এই খাবার ফিলিস্তিনিদের ইফতারির টেবিলের নিয়মিত আয়োজন।

রামাল্লার একটি দোকানে বাহারি রঙের ফলের পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ইফতারের সময় ক্রেতারা ছুটে আসছেন ফল কিনতে | ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনিদের ইফতারির টেবিলের অন্যতম উপাদান হলো আচার এবং বিভিন্ন প্রকার সবজি দিয়ে তৈরি সালাদ। সালাদ আর সবজি ইফতারে যেমন থাকে, তেমনি সাহ্‌রিতেও থাকে। ইফতারি বিনিময় করা ফিলিস্তিনিদের সংস্কৃতি। ইফতারির পাত্র সাজিয়ে তাঁরা প্রতিবেশীদের দিয়ে আসেন। এতে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়।

ফিলিস্তিনিরা রমজানে সারা রাত মসজিদে ইবাদত করে থাকেন। এ ছাড়া কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির করেন। বায়তুল মাকদিসের চত্বরে তারাবি পড়তে আগ্রহী থাকেন সব বয়সের মানুষ। ফিলিস্তিনিরা তাঁদের শিশুদেরও রোজার রাখতে দারুণ উদ্বুদ্ধ করেন।

ফিলিস্তিনিদের আরেক বৈশিষ্ট্য হলো রমজানকে সামনে রেখে নতুন তসবি, জায়নামাজ, মেসওয়াক, আতর, টুপি ইত্যাদি কেনা।