সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের উপনির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। আজ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ শামসুদ্দিন সম্মেলনকক্ষে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে কোনো প্রার্থী পেশিশক্তি ব্যবহার করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেছেন, কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে কোনো সিসি ক্যামেরা থাকবে না। তবে সংবাদকর্মীরা সিসি ক্যামেরা হিসেবে কাজ করবেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের প্রার্থী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ শামসুদ্দিন সম্মেলনকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনে টাকা দিয়ে ভোট কেনা ও পেশিশক্তি ব্যবহারসংক্রান্ত প্রার্থীদের অভিযোগের জবাবে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচনে কালোটাকার ছড়াছড়ির প্রমাণ পেলে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।

জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলওয়ার হোসেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, ছয়জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিরাজগঞ্জে গত তিনটি জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিবারই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। সবশেষ ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পদত্যাগ করায় চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়। এরপর নির্বাচন কমিশন ৯ মার্চ সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের উপনির্বাচন দিন নির্ধারণ করে।
উপনির্বাচনে জেলার ৮৩টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৯টি উপজেলা পরিষদ ও ৭টি পৌরসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট দেবেন। জেলার ৯টি ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ১৯৬ জনপ্রতিনিধি তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

এই উপনির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমান (মোটরসাইকেল), শাহজাদপুরের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমান (চশমা), কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেফাজ উদ্দিন (আনারস), মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মকবুল হোসেন (ঘোড়া), জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শওকত আলী (হেলিকপ্টার) ও শামীম তালুকদার (জিপ গাড়ি)।