রাজারবাগের পুলিশ বঙ্গবন্ধুর ডাকে প্রথম প্রতিরোধ এনেছিলেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজারবাগের পুলিশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল এবং প্রথম প্রতিরোধ এনেছিল বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, স্বাধীনতা ঘোষণার আগেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে নির্মম হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। সেই অভিযানের একটি অংশ এসে রাজারবাগে অবস্থান করেছিল।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চে ঘোষণা দিয়েছিলেন—তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়েই শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। যথার্থভাবেই এই রাজারবাগের পুলিশ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে সাড়া দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। প্রথম প্রতিরোধ এনেছিল। এ জন্যই আমরা তাদের গভীরভাবে স্মরণ করি। আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সেদিন রাজারবাগে যাঁরা শাহাদত বরণ করেছিলেন।’

এর আগে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে শহীদ পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদ পুলিশ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় একটি সুসজ্জিত পুলিশ দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। তখন বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিকে হত্যার মধ্য দিয়ে সূচনা হয়েছিল ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী অগ্নিপরীক্ষা। দীর্ঘ ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি অর্জন করে বাংলাদেশ। জন্ম হয় একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র।