পাবনায় জাস্টিন ট্রুডোর ভুয়া জন্মসনদ তৈরির ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি পাবনা: পাবনার সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে ভুয়া জন্মসনদ তৈরির ঘটনায় মামলা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঘটনা জানাজানির পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসন এসব পদক্ষেপ নেয়। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইউপির কম্পিউটার অপারেটর নিলয় হোসেনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে আমিনপুর থানায় একটি মামলা করা হয়।

গতকাল রাতে ইউপি সদস্য ও ২ নম্বর প্যানেল ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ আজ দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জাস্টিন ট্রুডোর নামে ভুয়া জন্মসনদ তৈরির বিষয়টি জানাজানির পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয় জেলা প্রশাসন। গতকাল রাতেই স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইফুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একই সঙ্গে কীভাবে জন্মসনদটি তৈরি হলো, কারণ জানতে চেয়ে আহম্মদপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুর রউফ মোল্লা ও সচিব আওলাদ হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই স্পর্শকাতর। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্প্রতি সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউপি থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর একটি ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সার্ভারে জন্মসনদটি ছিল। বিষয়টি জানাজানির পর দুপুর থেকে সার্ভারে জন্মসনদটি আর পাওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া জন্মসনদের ছবিতে দেখা যায়, নিবন্ধিত ব্যক্তির নাম জাস্টিন ট্রুডো। জন্মস্থান পাবনা। জন্ম ১৯৭১ সালের ২৫ ডিসেম্বর। মায়ের নাম মার্গারেট ট্রুডো, মায়ের জাতীয়তা বাংলাদেশি। বাবার নাম পিয়েরে ট্রুডো, বাবার জাতীয়তাও বাংলাদেশি। ইউপির কম্পিউটার অপারেটর নিলয় হোসেন টাকার বিনিময়ে ভুয়া সনদটি তৈরি করেন বলে অভিযোগ ওঠে।