বগুড়া জেলার মানচিত্র

প্রতিনিধি বগুড়া: চোর সন্দেহে আটক দুই জন হাতকড়াসহ বগুড়ার নিশিন্দারা উপশহর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলায় চার পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে আদমদীঘি থেকে হাতকড়াসহ গ্রেপ্তার করা হলেও অন্যজন পলাতক। সোমবার রাতে বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ এ তথ্য দিয়েছেন।

বরখাস্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন শহরের উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানা, কনস্টেবল মাহবুব আলম, একরামুল হক ও মানিক রতন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার ভোরে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সোহেল রানা, কনস্টেবল একরামুল হক ও মানিক রতন নিশিন্দারা এলজিইডি অফিসের সামনে জনগণের হাতে চোর সন্দেহে আটক মোহাম্মদ আলী (২৮) ও মিঠু মিয়া ওরফে ফারুক (২২) নামে দুজনকে তাঁদের হেফাজতে গ্রহণ করেন।

পরে তাঁদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপশহর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুই আসামিকে হাতকড়া লাগিয়ে দায়িত্বরত কনস্টেবল মাহবুব আলমের হেফাজতে রাখা হয়।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে হাতকড়াসহ আটক ওই দুই আসামি পালিয়ে যান। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতে মোহাম্মদ আলীকে আদমদীঘি থেকে হাতকড়াসহ পুনরায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পলাতক অপর আসামি মিঠু মিয়াকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।

বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ‘দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পুলিশ সুপারের আদেশে চার পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। পলাতক মিঠু মিয়া ও পুনরায় গ্রেপ্তার হওয়া মোহাম্মদ আলীর নামে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাহমুদুর রশিদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।’