রাজধানী ইসলামাবাদে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভবন | ফাইল ছবি: রয়টার্স

পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের নির্বাচন পেছানোর একটি প্রস্তাব আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটে পাস হয়েছে। আজ শুক্রবার সিনেটে প্রস্তাবটি তুলেছিলেন সিনেটর দিলাওয়ার খান। এর পক্ষে ভোট দেন উপস্থিত বেশির ভাগ আইনপ্রণেতা। তবে সিনেটে পাস হওয়া কোনো প্রস্তাব মানার বাধ্যবাধকতা নেই।

সিনেটে তোলা প্রস্তাবের বিষয়ে দিলাওয়ার খান বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ওপর হামলা হচ্ছে। বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপরও হামলা হয়েছে। এমনকি নির্বাচনী সমাবেশে হামলা হতে পারে বলে সতর্কতা উচ্চারণ করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

স্বতন্ত্র সিনেটর দিলাওয়ার খানের ভাষ্যমতে, প্রতিবন্ধকতা দূর না করে নির্বাচন আয়োজন করা উচিত হবে না বলে উল্লেখ করেছে সিনেট। তাই ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচন স্থগিত করা উচিত। এ সময় তিনি নির্বাচন পেছানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।

তবে নির্বাচন পেছানোর এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সিনেটর আফনানউল্লাহ ও বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্যমন্ত্রী মুর্তজা সোলাংগি। আফনানউল্লাহ বলেন, ২০০৮ ও ২০১৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল। তাই নিরাপত্তার অজুহাত দেখালে কখনোই নির্বাচন আয়োজন করা যাবে না।

পাকিস্তানের সিনেটে সদস্যসংখ্যা ১০০। এর মধ্যে আজ প্রস্তাব তোলার সময় মাত্র ১৪ জন সিনেটর উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সিনেটর গুরদিপ সিং ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সিনেটর বেহরামান্দ তাঙ্গি।

প্রার্থিতা ফিরে পেলেন কুরেশি

নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর আবার তা ফিরে পেয়েছেন পিটিআইয়ে জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মাহমুদ কুরেশি। আজ তাঁর প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আর বাধা রইল না তাঁর।

সিন্ধু প্রদেশের উমরকোট শহরে পার্লামেন্টের এনএ-২১৪ আসন থেকে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন কুরেশি। তবে ওই আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে আপিল ট্রাইব্যুনালে এর বিরুদ্ধে আবেদন করেন কুরেশি। সেই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন এ ট্রাইব্যুনাল। 

খাইবার পাখতুনখাওয়ার অ্যাবোটাবাদ শহরের এনএ-১৮ আসনে পিটিআই নেতা ওমর আইয়ুব খানের মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়েছিল। আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করলেও তাঁর মনোনয়নের বৈধতা দেওয়া হয়নি। তবে তিনি প্রদেশের হরিপুর শহর থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

এদিকে পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোর ও মিয়ানওয়ালি শহরের দুটি আসনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইপ্রধান ইমরান খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলেও তা নিয়ে নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।