বগুড়া জেলার মানচিত্র

প্রতিনিধি বগুড়া: বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় নির্বাচনবিরোধী মশালমিছিল থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটার পাশাপাশি তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে গাবতলী সদরের পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়সংলগ্ন বগুড়া-সারিয়াকান্দি সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভোটবিরোধী মশালমিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বিএনপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির স্থানীয় কর্মী-সমর্থকেরা ভোট বর্জনের সমর্থনে গতকাল রাতে মশালমিছিল বের করেন। গাবতলী মডেল থানার পুলিশ সেই মিছিলে বাধা দেয়। এ সময় বিএনপির সমর্থকদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ মিছিলে লাঠিপেটা করে। মিছিলকারীরাও ইটপাটকেল ছুড়ে পাল্টা জবাব দেন। একপর্যায়ে বিএনপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শটগানের কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এ সময় মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান।

বিএনপির ২২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
গাবতলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের আদবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে গতকাল সকালে দুটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাসহ ২২ নেতা-কর্মীকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছে।

গতকাল রাতে গাবতলী মডেল থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। নির্বাচনে বাধাদান এবং ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা যাতে না আসেন, এ জন্য আতঙ্ক ও ভীতি ছড়াতে দুটি তাজা ককটেল রেখে আসার অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।

মামলায় গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোরশেদ মিল্টন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক নতুনসহ বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ২২ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

গাবতলী মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, মামলায় এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিল্টন বলেন, ২০১৪ সালের মতো আওয়ামী লীগের একতরফা প্রহসনের নির্বাচন ভোট বর্জনের মাধ্যমে গাবতলী উপজেলাবাসী ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবেন। ভোট বর্জনের জন্য বিএনপি গণতান্ত্রিক পন্থায় ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করছে। পুলিশ ককটেল উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে অতীতের মতো নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিচ্ছে। ভোট বর্জনের মাধ্যমে গাবতলীবাসী সরকারের এসব অত্যাচার–নির্যাতনের দাঁতভাঙা জবাব দেবেন।