জয়ের পথে গালিবুর রহমান শরীফ

পাবনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ ঈশ্বরদী বাজারসহ শহরের বিভিন্ন একাকায় গণসংযোগ করেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়ে বাজিমাত করতে যাচ্ছেন গালিবুর রহমান শরীফ। এ আসনে নিজ দলের  স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলেও জয়ের পথ অনেকটাই মসৃণ গালিবের।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ছেলে গালিবুর রহমান শরীফ রয়েছেন ভোটের মাঠে। তাঁর বাবা এই আসন থেকে পাঁচবারের এমপি এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমি মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গালিব জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

এই আসনে নৌকার প্রার্থী তফশিল ঘোষণার পর থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। পথসভা, উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণ ও নির্বাচনী সভা করে ভোটের মাঠ চাঙ্গা রেখেছেন গালিবুর রহমান শরীফ। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও কৃষক লীগসহ দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি দিন-রাত দেশের সার্বিক উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে নৌকার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।


গালিবুর রহমান শরীফ বলেন, ‘বাবার পরিচিত এই ভোটের মাঠে সবাই আমাকে চেনে, জানে। এলাকার নানা উন্নয়ন একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে। তাই অতীতের মতো এবারও ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার নৌকাপাগল জনগণ বিপুল ভোটে আমাকে জয়ী করবে বলে বিশ্বাস করি।’

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই আসনের মোট ভোটার চার লাখ ১০ হাজার ২৩১ জন। মোট ১২৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।

এদিকে নির্বাচনী মাঠে নৌকার প্রচারণায় সরগরম ভোটের মাঠ। কিন্তু নৌকার প্রার্থী গালিবের বিপরীতে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাসের ঢিলেঢালা প্রচারণায় দেখা গেলেও অনেকটাই নিশ্চুপ জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম খোকন, জাসদের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আতাউল হাসান ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মনছুর রহমান।

জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম খোকন বলেন, ‘ভোটারদের কাছে গিয়ে নিজের ভোট চাইছি। বেশ ভালো সাড়াও পাচ্ছি।’

জাসদের আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এ এলাকার জনগণ যদি তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়, সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে মশাল প্রতীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে।’  

ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মনছুর রহমান নির্বাচনের মাঠে একেবারে নতুন মুখ। তিনিও দাবি করেছেন, 'কর্মীদের নিয়ে প্রচারণায় খুব আশাবাদী।'

জনগণ তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন জানিয়ে পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস বলেন, 'জনগণ আমাকে ভালোবাসে। আমি তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই।'

ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, 'সবার অংশগ্রহণে প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা নির্বাচনি প্রচার চালাচ্ছি। প্রতিদিনই সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রার্থী ও আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা ভোটারদের দুয়ারে যাচ্ছেন, ভোট প্রার্থনা করছেন। তবে আমাদের চ্যালেঞ্জ হল অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা। নির্বাচনে শুধু জিততে হবে তা নয়, আমাদের সাংগঠনিক কাজ সুবিধাজনক পর্যায়ে থাকলেও এটাকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।’

পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুল ইসলাম  হব্বুল বলেন, 'এই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ছাড়া অন্য কারও প্রচার এখনও পর্যন্ত দেখিনি। পোস্টারও তেমন একটা নেই। গালিব ছাড়া এ আসনে কোনও প্রার্থীই শক্তিশালী অবস্থানে নেই।'

সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, 'এখানে নৌকার প্রার্থী সহজেই জিতবে।'