চরবাগডাঙা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী সভা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অভিমান ভুলে নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছেন। বুধবার বিকেলে সদরের চরাঞ্চল এলাকা চরবাগডাঙা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক সভায় তাঁরা নিজেদের ভুল স্বীকার করে নৌকার পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
নৌকার বিপক্ষে থাকা বর্তমান (সাময়িক বরখাস্ত) ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অভিমান ভুলে নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার বিকেলে চরের চরবাগডাঙা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সভার আয়োজন করেন স্থানীয় দুইবারের ইউপি চেয়ারম্যান শাহিদ রানা টিপু। তিনি প্রকাশ্যে ভুল স্বীকার করে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন।
এ সময় শাহিদ রানা টিপু বলেন, ‘অতীতে আমি ভুল করে নৌকার বিরোধিতা করে অন্য পক্ষের হয়ে কাজ করেছি। জীবনে এমন ভুল আর হবে না। উন্নয়নের প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী এবং আব্দুল ওদুদকে সংসদ সদস্য বানাতে হবে। তবেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।’
সভায় চরবাগডাঙা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ওমর আলী বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দলের বাইরে ছিলাম। এখন এক জোট হয়ে নৌকার পক্ষে ভোট করতে চাই এবং যেকোনো মূল্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল ওদুদকে নির্বাচিত করতে চাই।’
অনুষ্ঠানে আব্দুল ওদুদ দলের পক্ষে উন্নয়নের পক্ষে নৌকার পক্ষে থাকতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বর্তমান সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসি ইসলাম জেসি।
এদিকে বিএনপি ছেড়ে বিএনএম থেকে মনোনয়ন দাখিলের পর নোঙর প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মতিন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চাঙা রাখলেও গত চার দিন ধরে তাঁদের প্রচারণা চোখে পড়ছে না। এমনকি যাঁরা প্রকাশ্যে নৌকা ঠেকাতে কোমর বেঁধে পথসভা, শোভাযাত্রা দিয়ে দিনরাত গণসংযোগ করেছেন, তাঁদের প্রচারণাও থমকে গেছে।
নোঙর প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মতিন গতকাল বুধবার সকালে তাঁর নিজস্ব বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে তিনি ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানান। তিনি বলেন, নোঙর প্রতীকের সমর্থকেরা নির্বিঘ্নে প্রচার প্রচারণা চালাতে পারছেন না। নৌকার সমর্থকেরা বাধা সৃষ্টি করছেন। এ নিয়ে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারের কাছেও লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে তিনি ভোট বর্জনসহ কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা দেন।