শনিবার সকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনসে প্যারেড ব্রিফিং করেন আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি রাজশাহী: একটা কথা আছে যে রাতে ভোট হয়ে যায়। তাই এবার ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে। এই ভোট বাধাগ্রস্ত করতে একটা মহল নানা কর্মকাণ্ড করতে পারে। তাদের মোকাবিলার জন্য পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কেউ যেন কোনো ধরনের ব্যাগ কিংবা টিফিন ক্যারিয়ার নিয়ে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না পারে।

ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে যাওয়া পুলিশ ও আনসার সদস্যদের এমন নির্দেশনা দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার। আজ শনিবার সকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনসে প্যারেড ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘কেউ কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিতে পারবে না। ভোটে কোনো ধরনের জালিয়াতিও হবে না। হবে না মানে হবে না। ভোট হবে ভোটের মতো। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাঁকে দেব—এটার ব্যতিক্রম হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’

আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার আরও বলেন, ‘কোনো ভোটারকে কেউ কোনো বাধা দিতে পারবে না। ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নিজের মতো করে ভোট দিয়ে বের হবেন। মাঝখানে কেউ বাধা দিতে গেলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ওসিদের প্রতি নির্দেশ থাকল, ভোটকেন্দ্রে কেউ ফৌজদারি অপরাধ করলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। পাশাপাশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। অপরাধ বিবেচনায় তাঁরা ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচার করে সাজা দেবেন। তা না হলে থানায় মামলা হবে। আমরা বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দেব যে নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।’

ব্রিফিং প্যারেডে আরএমপির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এই প্যারেডে ২ হাজার ১৯৫ জন পুলিশ সদস্য ও ১ হাজার ৩৪৪ জন আনসার সদস্য অংশ নেন। ভোটকেন্দ্রে তাঁরা কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, সে বিষয়ে তাঁদের দিকনির্দেশনা দেন পুলিশ কমিশনার। পরে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ভোটকেন্দ্রের দিকে রওনা দেন।

আরএমপির অধীনে এবার চারটি সংসদীয় এলাকা পড়েছে। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ২১৩টি। এর মধ্যে ২৪টি ছাড়া অন্য কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই ১২ জন করে আনসার সদস্য থাকবেন। আর সাধারণ ভোটকেন্দ্রে তিনজন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে চারজন করে পুলিশ সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া পুলিশের ৪৭টি মোবাইল টিম, ২০টি স্ট্রাইকিং টিম, কুইক রেসপন্স টিম, বোম ডিসপোজাল ইউনিট মাঠে থাকবে। এ ছাড়া র‌্যাবের চারটি দল, সাত প্লাটুন বিজিবি, চার প্লাটুন আনসার ও ছয় প্লাটুন সেনাসদস্য টহলে থাকবেন। মাঠে থাকবেন জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও।

আজ সকাল থেকেই রাজশাহীতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শহরের প্রতিটি মোড়ে সেনাসদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।