ঈশ্বরদীতে জুতা পায়ে শহীদ মিনারের সিঁড়িতে ওঠা নিয়ে বিতর্ক

 শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় জতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠে পড়েন শিক্ষকরা | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী:  পাবনার ঈশ্বরদীতে বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে কলেজ শিক্ষকদের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছবিটি নিয়ে নেট দুনিয়ায় বইছে সমালোচনার ঝড়। 

বৃহস্পতিবার সকালে দাশুড়িয়া ডিগ্রি (অনার্স) কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
 
ফেসবুকে ভাইরাল দাশুড়িয়া ডিগ্রি (অনার্স) কলেজের বুদ্ধিজীবী দিবসের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ১৪ ডিসেম্বর সকালে কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকরা সমবেত হয়ে দাশুড়িয়া কলেজ মাঠে নির্মিত শহীদ মিনারে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় তারা পায়ে থাকা জুতা না খুলেই শহীদ মিনারের বেদিতে উঠে পড়েন। 

এরপর বেদিতে পুষ্পস্তক অর্পণ শেষে করা ফটো সেশনে তাদের জুতা পরা অবস্থায় শহীদ মিনারের বেদিতে ব্যানার হাতে দেখা যায়। যেখানে জুতা পরা অবস্থাতেই শহীদ মিনারের বেদিতে তাদের অবস্থান সুস্পষ্ট। এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট হলে সেটা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। নেট দুনয়াতে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
 
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং দাশুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বকুল সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,  লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। সেই স্বাধীন দেশে শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনারের বেদিতে জুতা পায়ে ওঠা সর্বোচ্চ অবমাননার। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিসহ ইউএনও মহোদয়কে অনুরোধ করব বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

জানতে চাইলে দাশুড়িয়া ডিগ্রি (অনার্স) কলেজের অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তক অর্পণের পর আমরা সবাই নিচে নেমে যাই। তবে আমাদের কলেজের কোনো হলরুম না থাকায় শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রস্তাবনা আসে অনুষ্ঠানটি শহীদ মিনারের বেদিতেই শেষ করা হোক। আমিও সেটা মেনে নিয়ে সেখানেই আয়োজনটি শেষ করি। তবে আমার নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও দু-একজন অসাবধানতা বশত শহীদ মিনারের বেদিতে জুতাপরে ছিল, যেটা আমি অনুষ্ঠান শেষে জানতে পেরেছি। বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। এ বিষয়ে তিনি সবার কাছ ক্ষমা চেয়েছেন।’