চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদের বাড়ির সামনে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। শুক্রবার সকালে উপজেলা মনাকষা এলাকায় | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি ও শিবগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ এম সারওয়ার জাহান শনিবার দুপুরে এ চিঠি দিয়েছেন।

রোববার বেলা ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ ভবনে কমিটির সভাপতির দপ্তরে হাজির হয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোর অনলাইনে ‘আচরণবিধি ভেঙে নৌকার প্রার্থীর বাড়ির সামনে হাজারো নেতা-কর্মীর সভা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে মতবিনিময় সভার নামে সহস্রাধিক লোক জমায়েত করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হয়েছে। উপস্থিত লোকজনকে বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়েছে। এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এসব প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রতীয়মান হয় যে সামিল উদ্দিন আহমেদ নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ ছাড়া তিনি গণজমায়েত এবং উপস্থিত জনতাকে ভোজন করিয়েছেন। যা আচরণবিধিমালার বিধি-৬(খ)-(গ), ১০(চ) এবং ১২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ অবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় কেন তাঁর (সামিল) বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর সুপারিশ করা হবে না, এ মর্মে সশরীর এসে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

দলীয় নেতা-কর্মীরা বলেন, শুক্রবার সকালে সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদের বাড়ির সামনে প্যান্ডেল টানিয়ে এ সভা হয়। সভায় কয়েক শ নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল কবীর ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম খান উপস্থিত হননি। সভায় অংশ নেওয়া সবাইকে খাবারের প্যাকেট সরবরাহ করা হয়।

সভার ব্যানারে লেখা ছিল, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে জয়ী করার লক্ষ্যে মতবিনিময়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে সভায় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদসহ অন্য নেতারা বক্তব্য দেন। বক্তারা নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন এবং নৌকার পক্ষে ভোট চান।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ চিঠি পাওয়ার তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘ওই মতবিনিময় সভায় আমি ভোট চাইনি। নির্বাচনে আচরণবিধি যেন লঙ্ঘিত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করতেই নেতা-কর্মীদের ডাকা হয়েছিল। আলোচনা করতে দুপুর হয়ে যায়। তাই বাড়িতে রান্না করে খাইয়েছি। এতে যে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হবে, জানা ছিল না। তা ছাড়া মনোনয়ন পাওয়ার পরই বাড়ির সীমানার মধ্যে প্যান্ডেল তৈরি করা ছিল। সভা করার জন্য প্যান্ডেল তৈরি করিনি। এটা স্থায়ী প্যান্ডেল। এর নিচে আমার গাড়ি রাখা হয়।’