পোষা বিড়াল ‘লাড্ডুকে’ ফিরে পেতে পোস্টারিং

‌সিলেটে সান‌জিদা ফেরদৌসের হা‌রিয়ে যাওয়া পোষা বিড়াল লাড্ডু | ছবি: সান‌জিদা ফেরদৌসের সৌজন্যে

প্রতিনিধি সিলেট: ঘরে ৯টি বিভিন্ন প্রজাতির বিড়াল। এর মধ্যে মিক্স ব্রিড জাতের একটির নাম ‘লাড্ডু’। দেখতে বড়সড় বিড়ালটি সাত দিন আগে হারিয়ে যাওয়ার পর থেকে নাওয়াখাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন সিলেটের মেজরটিলার বাসিন্দা সানজিদা ফেরদৌস। তিনি সিলেট এমসি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী।

ছোটবেলা থেকে সানজিদা ফেরদৌসের বিড়াল পোষার প্রতি ঝোঁক ছিল। এর আগে কখনো বিড়াল না হারালেও প্রথমবারের মতো পোষা একটি বিড়াল হারিয়ে হতাশ তিনি। পোষা বিড়ালটিকে ফিরে পেতে সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টারিং করেছেন সানজিদাসহ তাঁর বন্ধু ও স্বজনেরা। সিলেট নগরের টিলাগড়, মেজরটিলা ও জালালাবাদ এলাকার একাধিক স্থানে এসব পোস্টার লাগানো হয়েছে।

পোস্টারটিতে বলা হয়েছে, সিলেট টিলাগড়া থেকে পোষা বিড়াল লাড্ডু হারিয়ে গেছে। এক মানবতাহীন প্রতিবেশী বস্তায় বেঁধে টিলাগড় থেকে বিড়ালটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে দিয়েছে। কোনো সহৃদয় ব্যক্তি বিড়ালটিকে দেখলে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। ওই পোস্টারে দুটি মুঠোফোন নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।

সানজিদার বড় বোন জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, তাঁর ও তাঁর বোনের বিড়াল পোষার শখ রয়েছে। প্রায় এক বছর আগে লাড্ডুকে পোষা শুরু করেন তাঁরা। তবে এর আগে থেকে তাঁদের আরও বিড়াল ছিল। বিড়াল পোষা নিয়ে তাঁদের বাবা তরিকুল ইসলাম ও মা মল্লিকা বেগমের কোনো আপত্তি ছিল না।

লাড্ডুর খোঁজ পেতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ এবং নিজের ওয়ালে হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পোস্ট করেছেন জানিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, অনেকেই সহযোগিতা করছেন। আবার অনেকে বাজে মন্তব্য করছেন। কেউ কেউ বিরক্ত করছেন। তবে তাঁরা এসবে বিরক্ত না হয়ে লাড্ডুকে খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সানজিদা ফেরদৌস বলেন, লাড্ডুর একটি পায়ে সমস্যা আছে। সে বসলে পেছনের একটি পা সামনের দিকে দিয়ে বসে। প্রতিদিন তিনি এবং তাঁর বন্ধুরা মিলে সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে লাড্ডুকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন।

সানজিদা ও জান্নাতুল ফেরদৌসের মা মল্লিকা বেগম বলেন, তাঁদের পরিবারের খুব প্রিয় ছিল লাড্ডু। এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে শুনেছেন তাঁরা একটি বিড়ালকে বস্তায় ভরে ফেলে দিয়েছেন।