‘দ্য জায়ান্ট’ নামে পরিচিত আগুস্তিন | ইনস্টাগ্রাম

খেলা ডেস্ক: গত বছর কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের পর আবারও বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ট্রফি উঁচিয়ে ধরার সুযোগ এসেছিল আর্জেন্টিনার সামনে। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে ফেবারিট হিসেবে সেমিফাইনালেও পৌঁছে গিয়েছিল তারা। কিন্তু জার্মানির বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হার মানতে হয় আর্জেন্টিনাকে। শেষ পর্যন্ত মালির কাছে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও হারলে চতুর্থ হয়েই দেশে ফিরতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে।

বিশ্বকাপ জেতা না হলেও ব্যক্তিগত সাফল্যে ভেসেছেন আর্জেন্টিনার আগুস্তিন রুবের্তো। বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট জিতেছেন ১৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৮ গোল করেছেন তিনি। যেখানে জার্মানির কাছে টাইব্রেকারে হারা ম্যাচটিতে হ্যাটট্রিকও করেছে রুবের্তো। বয়সভিত্তিক এবং মূল বিশ্বকাপ মিলিয়ে সপ্তম আর্জেন্টাইন হিসেবে এই পুরস্কারটি জিতেছে ‘দ্য জায়ান্ট’ নামে পরিচিত আগুস্তিন।

গিলের্মো স্তাবিলে (উরুগুয়ে বিশ্বকাপ, ১৯৩০)
আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপ অভিযানের নায়ক ছিলেন গিলের্মো স্তাবিলে। দারুণ খেলে দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন ফাইনালেও। কিন্তু স্বাগতিক উরুগুয়ের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি আর্জেন্টিনা। শিরোপা জেতা না হলেও সেবার টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন গিলের্মো। করেছিলেন ৮ গোল। মেক্সিকোর বিপক্ষে ৩, চিলির বিপক্ষে ২, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ২ এবং উরুগুয়ের বিপক্ষে করেছিলেন ১ গোল।

মারিও আলবার্তো কেম্পেস (বিশ্বকাপ, ১৯৭৮)
১৯৩০ সালের পর দ্বিতীয় গোল্ডেন বুটজয়ীকে পেতে আর্জেন্টিনাকে অপেক্ষা করতে হয় ৪৮ বছর। ১৯৭৮ সালে নিজ দেশে আয়োজিত বিশ্বকাপে ট্রফিটি জেতেন মারিও কেম্পেস। দলকে প্রথম বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার পাশাপাশি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে সেবার কেম্পেস পোল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ২ গোল, পেরুর বিপক্ষে ২ গোল এবং ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে করেন আরও ২ গোল। ৬ গোল করা কেম্পেসের চেয়ে বেশি গোল সেবার আর কেউ করতে পারেননি।

রামন দিয়াজ (অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ১৯৭৯)
অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসর। ডিয়েগো ম্যারাডোনার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। পরবর্তী সময়ে সর্বকালের অন্যতম সেরা হয়ে ওঠা ম্যারাডোনার শ্রেষ্ঠত্বের ঝলক দেখা গিয়েছিল এই টুর্নামেন্টেই। ম্যারাডোনা জিতেছিলেন সেরা ফুটবলারের পুরস্কারও। তবে গোল করায় সবার ওপরে ছিলেন রামন দিয়াজ। সেই আসরে দিয়াজ সব মিলিয়ে করেছিলেন ৮ গোল।

হাভিয়ের সাভিওলা (অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ, ২০০১)
লম্বা বিরতির পর চতুর্থ আর্জেন্টাইন হিসেবে গোল্ডেন বুট জেতেন হাভিয়ের সাভিওলা। ১১ গোল করেছিলেন সাভিওলা। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছিলেন তিনি।

লিওনেল মেসি (অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ, ২০০৫)
নিজের আগমনী বার্তাটা প্রথম এই বিশ্বকাপেই দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। নেদারল্যান্ডসে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে মেসি গোল করেছিলেন ৬টি। যা তাঁকে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার এনে দেওয়ার সঙ্গে দিয়েছে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারও। সে আসরে মেসি একটি করে গোল করেছিলেন মিসর, কলম্বিয়া, স্পেন এবং ব্রাজিলের বিপক্ষে। আর ফাইনালে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে করেছিলেন জোড়া গোল।

সের্হিও আগুয়েরো (অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ, ২০০৭)
আগুস্তিনের আগে ২০০৭ সালে সর্বশেষ গোল্ডেন বুটের পুরস্কার জিতেছিলেন সের্হিও আগুয়েরো। বয়সভিত্তিক ফুটবলে সেবারই সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। যথারীতি বিশ্বকাপের সঙ্গে ব্যক্তিগত পুরস্কারেও ছিল আর্জেন্টাইনদের দাপট। সেরা খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার উঠেছিল আগুয়েরোর হাতে। ৬ গোল করেছিলেন আগুয়েরো।