সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ার ডাক

 

 কর্মশালায় শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংঘাত, হানাহানি পরিহার করার আহ্বান জানান | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নাসিম উদ্দিন, লালপুর থেকে: সমাজে সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য মৌলিক বিষয়গুলোতে রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে ঐকমত্য থাকা জরুরি। তাই সংঘাত নয়, ঐক্যের মধ্যে দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হবে।
 
পিপুল এগেইনষ্ট ভায়োলেন্স এভরিহয়ার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইউএসএআইডি ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজন শনিবার দুপুরে নাটোরের লালপুর একটি রিসোর্টে আয়োজিত ‘নির্বাচনী সহিংসতা প্রতিরোধে নাগরিক দায়িত্ব’ কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, ঐকমত্য হতে পারে ন্যূনতম বিষয়ে অথবা বৃহত্তর পরিসরে। বৃহত্তর পরিসরের ঐক্য বৈচিত্র্যের মধ্যে একতা সৃষ্টিতে সহায়তা করে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও সহিষ্ণুতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা রাজনৈতিক দলের মধ্যকার ন্যূনতম ঐকমত্যের ক্ষেত্র।

পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও সহিষ্ণুতা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মধ্যে মতবিনিময়ের দ্বার খুলে রাখে এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের সম্ভাবনা সৃষ্টি করে।

বক্তারা আরও বলেন, একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন যে, রাজনীতিকরা সমাজের সবচেয়ে প্রভাবশালী অংশ এবং ক্ষমতার প্রভাব বলয় তাদের কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়। একটি সমাজে ক্ষমতার এই একাধিক পরস্পর বিরোধী প্রভাব বলয়ের উপস্থিতি ও আচরণ অনেক ক্ষেত্রেই শান্তিভঙ্গ তথা সম্প্রীতি বিনষ্টের কারণ হিসেবে দেখা দেয়। সম্ভবত এটিই দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সবচেয়ে বড় কারণ। তাই সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ চাই।

বাঘা উপজেলা পিএফজি সমন্বয়কারী উত্তম কুমার পালের সঞ্চালনায় ও দি হাঙ্গার বাংলাদেশ রাজশাহীর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী নাজমুল হুদা মিনার সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন  ইয়ুথ মোবিলাইজেশন অফিসার মাসুম রাসেল প্রমুখ।