নির্বাচন সুষ্ঠু করতে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি: ইসি রাশেদা সুলতানা

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ: নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, যিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙবেন, তাঁর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি তাঁর প্রার্থিতাও বাতিল করা হতে পারে। আজ শনিবার বিকেলে তিনি সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আচরণবিধি ভঙ্গ করলে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান আছে। আবার যদি কেউ ভয় দেখান বা হুমকি-ধমকি দেন, তাহলে তিনি অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন। আইন অনুসারে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আমরা জিরো টলারেন্স (শূন্য সহনশীলতা) নীতি অবলম্বন করছি।’

ভোট দিতে যাওয়া নিয়ে ভোটারদের আতঙ্কের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, আগে ভোটারদের হুমকি দেওয়া হলে হুমকিদাতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ ছিল না। কমিশন নতুন আইন করেছে। আইনে হুমকিদাতাকে অপরাধী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়ার বিধান আছে। তিনি বলেন, ভোটাররা কোনো প্রকার বাধা ছাড়া কেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিতে পারবেন। এ সময় কোনো সংবাদকর্মীকেও যদি কোনো প্রার্থী, সমর্থক বা অন্য কেউ ভয় দেখান বা হুমকি-ধমকি দেন, তাহলে তিনি অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন। আইন অনুসারে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমুল হক বলেন, ‘আমার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী চয়ন ইসলামকে গত শুক্রবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। তবে এ বিষয়ে তাদের দেওয়া শাস্তির ওপর অনেকটা নির্ভর করবে যে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের অপরাধপ্রবণতা বাড়বে না কমবে। বিষয়টি ইসিকে জানিয়েছি।’

সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ-রায়গঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি আশা করছি, নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ করবে। সেই আস্থা রেখেই আমি আমার সমস্যার কথাগুলো জানিয়েছি। কমিশন আমার বক্তব্য আন্তরিকভাবে শুনেছে এবং মিলেমিশে নির্বাচন করতে বলেছে।’

জেলা প্রশাসক মীর মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ওই মতবিনিময় সভায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক আনিসুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের শেখ কামাল মিলনায়তনে জেলার প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ইসি রাশেদা সুলতানা।