বগুড়ায় মহাসড়কে চলন্ত বাসে যাত্রী বেশে ডাকাতি, একজন গ্রেপ্তার

ডাকাতি | প্রতীকী ছবি

প্রতিনিধি শেরপুর: বগুড়ার শেরপুরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে একটি চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাসচালক ও যাত্রীদের সহযোগিতায় ডাকাত দলের এক সদস্যকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মির্জা রুবেল (৪৮)।

থানা–পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ১০টার দিকে দিনাজপুর শহর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় নাবিল পরিবহনের একটি বাস। বাসটিতে ১৫ জন যাত্রী ছিলেন।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাসটি রাত একটার দিকে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার মঝিড়া এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীবেশী পাঁচ ডাকাত বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। তাঁরা চালককে মারধর করে আসন থেকে তুলে দেন। ডাকাতদের একজন বাসটি চালানো শুরু করেন। অপর চারজন যাত্রীদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন। এরপর আনুমানিক রাত দেড়টায় বাসটি শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ঘোগা বটতলা এলাকায় পৌঁছালে ডাকাতদের চারজন নেমে যান। অপর একজন নামার চেষ্টা করলে বাসটির চালক তাঁকে জাপটে ধরেন।

ডাকাত দলের ধরা পড়া সদস্যের নাম মির্জা রুবেল (৪৮)। খবর পেয়ে শেরপুর থানা–পুলিশের একটি টহল দল এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলায়। মির্জা রুবেল পেশাদার ডাকাত দলের সদস্য বলে শেরপুর থানা–পুলিশের দাবি।

বাসটির চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকাত দলের সবাই টিকিট কেটে বাসে উঠেছিল। সবার কাছেই স্কুলব্যাগ ছিল। আমরা তাদেরকে যাত্রী ভেবেছিলাম। তারা আমার বাসের স্টাফ ও যাত্রীদের ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা লুট করেছে।’

এ ঘটনায় ওই বাসের চালক বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানিয়েছে শেরপুর থানা–পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফ আহমেদ। তিনি বলেন, আজ শুক্রবার একটি ডাকাতি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। গ্রেপ্তার মির্জা রুবেলের কাছ থেকে ডাকাতিতে লুণ্ঠিত নগদ ৪ হাজার টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ধারালো ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে মির্জা রুবেলসহ মোট পাঁচজন জড়িত ছিলেন।

এ নিয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা বলেন, গ্রেপ্তার মির্জা রুবেল একজন পেশাদার ডাকাত। তাঁর নামে ২০১৭ সালে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি ডাকাতি মামলা আছে। তাঁর সহযোগীদের খোঁজে ঘোগা বটতলা এলাকার আশপাশে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ডাকাতিতে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।