সমর্থকদের নিয়ে একপাশে অবস্থান নেন পাবনা–১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সাইয়িদ। চার দিক থেকে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার সাঁথিয়ার বোয়ালিয়া বাজারে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি পাবনা: পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া আংশিক) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। আজ মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকা সাঁথিয়া উপজেলার বোয়ালিয়া বাজারে আবু সাইয়িদকে অবরুদ্ধ করে স্লোগান দেন শামসুল হকের সমর্থকেরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলছেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে আবু সাইয়িদ বাড়ি থেকে কয়েকটি গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন। তাঁর সঙ্গী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুল হকের ভাই এবং বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল বাতেন। তাঁদের গাড়িবহর বেড়া সিঅ্যান্ডবি বাজার এলাকায় পৌঁছালে প্রথম বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। নৌকার স্লোগান দিয়ে একদল ব্যক্তি গাড়িবহরটিকে অবরুদ্ধ করে। সেখানে গাড়িবহরে থাকা লোকজনকে চড়থাপ্পড় দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সেখান থেকে বেলা ১টার দিকে গাড়িবহরটি সাঁথিয়ার বোয়ালিয়া বাজারে পৌঁছালে আবারও বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। আবু সাইয়িদ তাঁর লোকজন নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে একটি দোকানে আশ্রয় নেন। সেখানেই তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
আবু সাইয়িদ অভিযোগ করেন, প্রচারণার শুরুতেই তাঁকে পদে পদে বাধা দেওয়া হচ্ছে। গাড়িবহর আটকে নেতা-কর্মীদের মারপিট করার ঘটনায় পাঁচ থেকে সাতজন কর্মী আহত হয়েছেন। এটা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ হতে পারে না।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আল্পনা ইয়াসমিন খবর পেয়ে বিকেল পৌনে চারটার দিকে ঘটনাস্থলে যান। পরে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে রক্ষা পান আবু সাইয়িদ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুল হকের মুঠোফোনে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা পরিবেশ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছি।’
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। প্রার্থীরা তাঁদের মতো করে প্রচারণা চালাতে পারবেন।’