প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল | ফাইল ছবি |
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে তাঁর স্বস্তি বা অস্বস্তি কোনোটিই নেই। তবে নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল (বিএনপি) অংশ নিচ্ছে না। তারা অংশ নিলে ভালো হতো।
আজ সোমবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন। এর আগে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে জাপানের একটি প্রতিনিধিদল। সিইসি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে জাপান একটি পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে। এ ছাড়া তাদের দূতাবাসের কর্মকর্তারাও ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘বারবার একটি শব্দ শুনি, চাপ চাপ চাপ। যেটা হলো...সব দেশ আমাদের নির্বাচন সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছে। আমাদের ডোনার কান্ট্রিগুলো (দাতা দেশ) দেখতে চাচ্ছে নির্বাচন। সেটাকে চাপ বলেন বা এটা সেনসেটাইজেশন বলেন, ওরা যে দৌড়ঝাঁপগুলো করছে, আমরা দেখেছি...।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘অস্বস্তি বা স্বস্তি কোনোটিই আমার মধ্যে নেই। আমার দায়িত্বটা হচ্ছে আমাদের নির্বাচনটা যেভাবে করতে হয়, আমরা নির্বাচন কমিশন সরকারের সহায়তা নিয়ে, অর্থাৎ পুলিশ, প্রশাসন সবার সহায়তা নিয়ে নির্বাচনটা করতে চাচ্ছি। আমার ব্যক্তিগত স্বস্তি, অস্বস্তিটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে এটা ঠিক যে নির্বাচনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল (বিএনপি) তারা পার্টিসিপেট করছে না। পার্টিসিপেট করলে ভালো হতো।’
বিএনপির নাম উল্লেখ না করে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের প্রথম থেকেই নির্বাচনে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছিল, আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কিন্তু তারা সাড়া দেয়নি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে কোনো সমস্যা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, তিনি এখন সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না। সেটি নির্বাচনের পর দেখা যাবে।
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন ও নির্বাচন প্রতিহতের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘প্রতিহত যদি ওনারা করতে চান, সেটা ওনাদের ব্যাপার। পলিটিক্যালি স্ট্র্যাটিজি। সেটার ব্যাপারে আমরা কোনো বক্তব্য দেব না। আমরা চাইব ইলেকশনটা পিসফুলি হোক।’
বৈঠকের বিষয়ে সিইসি বলেন, জাপান নির্বাচনকে গুরুত্ব দিচ্ছে। সে জন্য তারা পর্যবেক্ষণ করতে চাইছে। কমিশন তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে তাদের জানানো হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে জাপানের কোনো পরামর্শ ছিল না।