বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে জাসদ। ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর | ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দলীয়করণ-দুর্নীতি-লুটপাট-সিন্ডিকেটের মাফিয়াচক্র দমন এবং অর্থনৈতিক–সামাজিক–সাংস্কৃতিক বঞ্চনা–বৈষম্য নিরসনের অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আজ শনিবার বেলা ১১টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হয়।
ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদ মনোনীত ৬৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে ৬৩ প্রার্থী দলীয় প্রতীক ‘মশাল’ এবং ৩ প্রার্থী ১৪–দলীয় জোটের অভিন্ন প্রার্থী হিসেবে ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই ৬৬টি আসনের বাইরে বাকি ২৩৩টি আসনে জাসদ ১৪ দলের অভিন্ন প্রার্থীদের সমর্থন করছে।

দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ইশতেহার তুলে ধরেন। অন্যদের মধ্যে দলের সহসভাপতি ফজলুর রহমান ও শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির ও রোকনুজ্জামান রোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাসদের ইশতেহারে বলা হয়েছে, সর্বজনীন খাদ্যনিরাপত্তা,  স্বাস্থ্যনিরাপত্তা, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা ও ইন্টারনেট অভিগম্যতাকে নাগরিকের অবশ্যিক মৌলিক অধিকার হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে; বিকেন্দ্রীকরণ ও স্তরে স্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে জনগণের স্বশাসন কায়েম করা হবে; শ্রমজীবী-কর্মজীবী-পেশাজীবী মেহনতি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘উচ্চকক্ষ’ গঠনসহ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করা হবে।

রাষ্ট্র পরিচালনার রাজনৈতিক নীতি, সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি, উন্নয়ন নীতি, খাতওয়ারী নীতি, বিশেষ জনগোষ্ঠীর জন্য নীতি, জাতীয় নিরাপত্তা নীতি, পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে দলের কর্মসূচি তুলে ধরা হয়েছে নির্বাচনী ইশতেহারে। ইশতেহারে বলা হয়, জাসদের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করলে দলের নির্বাচনী ইশতেহারের ভিত্তিতে সংসদীয় ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি সমানতালে রাজপথে রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করবে।