চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ শনিবার দুপুরে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি চট্টগ্রাম: ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য প্রচারপত্র বিতরণের নামে বিএনপি মূলত ফটোসেশন করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করেও নির্বাচনের উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আমেজকে কোনোভাবেই ম্লান করতে পারেনি। অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তাই বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক ভেস্তে গেছে।

দেশের নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, যেসব বিদেশির কাছে বিএনপি বারবার ধরনা দিত, সেই বিদেশিরাও এখন নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, নির্বাচনে যাতে কেউ বাধা না দেয়, সেই কথাই বলছেন। এখন নির্বাচনটা কীভাবে সুষ্ঠু করা প্রয়োজন, তা নিয়েই সবাই পরামর্শ দিচ্ছে।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতিসংঘের বিবৃতি ও ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচনে যাতে কেউ বাধা না দেয়। অর্থাৎ সহিংসতা না হয়। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, দেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন তারা দেখতে চায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা সবাইকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন, নির্বাচনকালে যেন কেউ সহিংসতা না করে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা এখন ট্রেনে হামলা চালানো শুরু করেছে। যেভাবে ট্রেনে ঘুমন্ত মানুষের ওপর পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে মা–শিশুসন্তানসহ চারজনকে হত্যা করেছে। এগুলো মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। এটা যত না নৃশংস ও বীভৎস ছিল, তার চেয়েও জঘন্য ছিল বিএনপির নেতা রিজভী আহমেদসহ অন্যদের মিথ্যাচার।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনে সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যে বা যাঁরা করছেন, তাঁরা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন। নির্বাচন কমিশন সে ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আমাদের দলেরও কেউ করল, সেটি আমরা বরদাশত করব না। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির লিফলেট বিতরণের নামে মূলত ঢাকা শহরে ফটোসেশন করা হয়। সকালবেলা যখন মানুষ ঘুম থেকে ওঠে না, তখন দৌড় দিয়ে একটা মিছিল করে তারা। আর একটা ছবি তোলা হয়। এগুলোর কোনো ইমপ্যাক্ট নির্বাচনে নেই।