নাটোরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর হাসপাতাল চত্বর থেকে দুটি পিস্তল উদ্ধার

নাটোর সদর হাসপাতালের পেছনের গলি থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার দুই আগ্নেয়াস্ত্র  | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি নাটোর: নাটোরে দিনভর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর বুধবার সন্ধ্যায় সদর হাসপাতাল চত্বর থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সদর হাসপাতালের পেছনের গলিতে কতিপয় সন্ত্রাসী নাশকতার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছালে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হাসপাতালের দেয়াল টপকে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে থাকা একটি ব্যাগের ভেতর থেকে গুলিবিহীন ম্যাগাজিনসহ একটি সচল বিদেশি পিস্তল ও প্লাস্টিকের তৈরি একটি রিভলবার পাওয়া যায়।

পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের বিশেষ শাখার উপপরিদর্শক আশরাফুর রহমান বলেন, অস্ত্র দুটি উদ্ধারের পর আইনানুগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কারা কী উদ্দেশ্যে অস্ত্র দুটি সেখানে রেখে গেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের হরিশপুর বাস টার্মিনালে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামের অনুসারীদের দুটি পক্ষ নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ছয়জন গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া দুপুর ১২টার দিকে নাটোর এনএস সরকারি কলেজ চত্বর ও কলেজের আশপাশে (বড়গাছা) জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম-সমর্থিত ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবর্ষণ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এর দুই দিন আগে স্টেশনবাজার এলাকায় যুবলীগের একটি পক্ষ জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলামকে তাঁর বাড়ির সামনে উপর্যুপরি গুলি করে গুরুতর আহত করে। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। ওই ঘটনায় আজ সকাল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এসব ঘটনায় শহরের মানুষ আতঙ্কে সময় পার করছেন।