পরীক্ষায় ফলাফল প্রকাশের পর উল্লসিত শিক্ষার্থীরা | ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আজ রোববার  প্রকাশিত হবে। আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফল হস্তান্তর করা হবে। এরপর সারা দেশের শিক্ষার্থীরা একযোগে পরীক্ষার ফলাফল পাবেন।

গত মঙ্গলবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। একই সঙ্গে ২৬ নভেম্বর ফল প্রকাশের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দেওয়া হয়।

আজ দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফলের বিস্তারিত জানাবেন।

পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য প্রতিবারই সম্ভাব্য সময় হিসেবে তিন দিনের একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায় শিক্ষা বোর্ডগুলো। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে আলাপ করে ফলাফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করে সেটি বোর্ডগুলোকে জানিয়ে দেয়।

যেভাবে ফলাফল জানা যাবে
শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বা মুঠোফোনে এসএমএসের মাধ্যমে তাঁদের ফলাফল জানতে পারবেন। মুঠোফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম ৩ অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। 

উদাহরণ—HSC DHA 123456 2023 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে পরীক্ষার ফলাফল।

এ ছাড়া www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে Result sheet download করা যাবে।

তা ছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.dhakaeducationboard.gov.bd এ Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক Result sheet download করা যাবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অনলাইনের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল ডাউনলোড করে প্রকাশ করার জন্য https://dhakaeducationboard.gov.bd/ ওয়েবসাইটের Result কর্নারে ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএনের মাধ্যমে ফলাফল ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত ১৭ আগস্ট শুরু হয়েছিল এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। অবশ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা কিছুদিন পর শুরু হয়েছিল। এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একটি বাদে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়েছে। শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা শেষ সময়ে এসে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।