নির্বাচন ভবনে আজ বুধবার ভোটের তারিখ নির্ধারণে কমিশন সভা শুরু হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি চূড়ান্ত করতে নির্বাচন ভবনে শুরু হয়েছে নির্বাচন কমিশনের ২৬তম সভা।
বুধবার বিকাল ৫ টায় নির্বাচন ভবনে সিইসির কক্ষে এই সভা শুরু হয় বলে ইসির জনসংযোগ পরিচালক শরিফুল আলম জানান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ সভায় চার নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিব জাহাংগীর আলম উপস্থিত রয়েছেন।
এ সভায় মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়, বাছাই, প্রত্যাহারের শেষ সময় ও ভোটের দিন ঠিক করে বিস্তারিত তফসিল চূড়ান্ত করা হবে।
এরপরই সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে সিইসির ভাষণে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। সেজন্য বিটিভি ও বেতার কর্মীরা বিকালেই নির্বাচন ভবনের উপস্থিত হয়েছেন। সিইসির ভাষণ সরাসরি সম্প্রচারের জন্য ওভি ভ্যান নিয়ে এসেছেন বিটিভির কর্মীরা।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, এর আগে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে।
সেই হিসাবে গত ১ নভেম্বর নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা আছে। ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতেই ভোট আয়োজনের প্রস্তুতির কথা এর আগে বিভিন্ন সময়ে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এমন এক সময় সিইসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছেন, যখন সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করার অবস্থানে অনড়।
একই দাবিতে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে সেই নির্বাচনে জিতে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।
এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও ভোটের ফলে ভরাডুবির পর ‘আগের রাতে’ ভোট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলে। সংসদের মেয়াদের শেষ দিকে এসে তাদের নির্বাচিত এমপিরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
এবার ২০১৪ সালের মত একই দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে ফিরে এসেছে সংঘাতের পরিবেশ। যানবাহনে অগ্নিংযোগ আর নাশকতার ঘটনায় জনমনে বাড়ছে উদ্বেগ। যুক্তরাষ্ট্র দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে নিঃশর্ত সংলাপের আহ্বান জানালেও বিবাদমান পক্ষগুলো তাতে সাড়া দেয়নি।
বিএনপির ডাকে বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ। তার মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছেন সিইসি।
তফসিল ঘোষণা সামনে রেখে সকাল থেকেই শেরেবাংলা নগরে নির্বাচন ভবন ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
তফসিল ঠেকাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা ইসি অভিমুখে গণমিছিল শুরু করেছিল, তাদের শান্তিনগরেই আটকে দিয়েছে পুলিশ।