প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে আলোচনায় আসা পটুয়াখালীর চতুর্থ শ্রেণির স্কুল শিক্ষার্থী শীর্ষেন্দুর স্বপ্নের সেতু অবশেষে নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে | ফাইল ছবি |
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে আলোচনায় আসা পটুয়াখালীর স্কুলছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাসের স্বপ্নের সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পটুয়াখালীর প্রমত্ত পায়রা নদীর ওপর ‘পায়রা কুঞ্জ সেতু’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১ হাজার ৪২ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দুই লেনবিশিষ্ট এ সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ১ হাজার ৩৭৫ মিটার এবং প্রস্থ হবে ১০ দশমিক ৭৬ মিটার। ২০২৫ সালের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা।
২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লেখে শীর্ষেন্দু বিশ্বাস। তখন সে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলি উচ্চবিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। মা-বাবার চাকরির সুবাদে পটুয়াখালী শহরে থাকে শীর্ষেন্দু। তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের ছয়আনি গ্রামে। গ্রামের বাড়ি থেকে পটুয়াখালী জেলা শহরে আসতে মির্জাগঞ্জের পায়রা নদী পার হতে হয়। নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ। তাই ওই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখে সে। দেশজুড়ে আলোচিত হয় চিঠিটি। এর জবাবে ওই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লেখেন, ‘স্নেহের শীর্ষেন্দু, তোমার চিঠি পেয়ে আমি আনন্দিত। মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তোমাকে আশ্বস্ত করছি।’ সেই আশ্বাস আজ বাস্তবে রূপ পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই সময় গণভবন থেকে দেশব্যাপী বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ, সম্প্রসারণ প্রকল্পসহ আর্থসামাজিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
জেলা প্রশাসন জানায়, আজ সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালীর লোহালিয়া নদীর ওপর ৫৭৬ দশমিক ২৫ মিটার দীর্ঘ লোহালিয়া সেতু উদ্বোধন করেন। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ১২টি আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। ১১৩ জন ভূমিহীন গৃহহীনের মধ্যে ঘর হস্তান্তর; শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন; পটুয়াখালীর বাউফলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মিত সাতটি কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া আইন ও বিচার বিভাগের আওতায় গলাচিপা সাবরেজিস্ট্রি অফিস ভবন উদ্বোধন, ২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।